#মুম্বই: করোনা বিধ্বস্ত গোটা দেশ। আর সেই জন্যই সন্তান ধারণ করার পরিকল্পনা করতে পারছেন না কৌতুকশিল্পী ভারতী সিং (Bharti Singh)। ২০২০ থেকেই করোনার দাপট চলছে। সেই বছরই ভারতী জানিয়েছিলেন, তিনি ও তাঁর স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়া এবার নিজেদের জীবনে এক নতুন প্রাণ সঞ্চারের কথা ভাবছিলেন। কিন্তু করোনার জন্য সেই পরিকল্পনা পিছোতে হল। আর ২০২১-এ এসেও করোনার হাহাকার থেকে এখনও মুক্তি নেই। আর তাই এবার ডান্স দিওয়ানে (Dance Deewane) রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন কৌতুকশিল্পী।
রিয়্যালিটি শোয়ে এক প্রতিযোগী নাচের মধ্যে ফুটিয়ে তোলেন ১৪ দিনের শিশুকে রেখে করোনা আক্রান্ত মায়ের মৃত্যুর ঘটনা। এই দেখেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ভারতী। আর এসব দেখেই নিজে গর্ভবতী হওয়ার পরিকল্পনা ভাবতে পারছেন না তিনি। কৌতুকশিল্পীর কথায়, “আমরা সন্তানের পরিকল্পনা করছি। কিন্তু এই সব শোনার পরে পরিবার বৃদ্ধি করতে আর ইচ্ছে করছে না। ইচ্ছে করেই সন্তান ধারণের বিষয় আর আমরা কথা বলছি না কারণ আমি এভাবে কাঁদতে চাই না।”
পাশাপাশি আরও একটা ঘটনায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ভারতী। তাঁর মাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই স্মৃতি মনে করতে গিয়েও চোখে জল এসে যায় তাঁর। ভারতী বলছেন, “করোনা আমাদের সকলকেই খুব কাঁদাচ্ছে। বহু জীবন নিয়ে নিচ্ছে করোনা। আমার মাও আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমায় ফোন করে মা বলত, এক প্রতিবেশীর করোনা হয়েছে ও তিনি মারা গিয়েছেন। আমার ভয় লাগত। মনে হতো আমি যদি এমন খবর পাই। করোনা আমাদের সবাইকে ভিতর থেকে ভেঙে দিয়েছে।”
এই রিয়্য়ালিটি শোয়েরই বিচারক সোনু সুদ। করোনা কালে তিনি মসিহার ভূমিকা পালন করেছেন। হাজার হাজার মানুষকে সাহায্য করেছেন তিনি। তাঁর কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে। ডান্স রিয়্য়ালিটি শোতেও কোভিড যোদ্ধাদের উৎসর্গ করেছেন তিনি বিশেষ ভাবে। কোভিড সংকটে মানুষও যে একই ভাবে তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ সেই কথা তারাও বলেছেন।
Published by:Swaralipi Dasgupta
First revealed:
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post