নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :- তোলা দিতে অস্বীকার করায় এক ব্যবসায়ীকে চড় মারার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ব্যবসায়ী জগদ্দলের থানার অন্তর্গত ভাটপাড়া পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামনগর উকিল বাগান এলাকার বাসিন্দা। অপরদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি ভাটপাড়ার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অরুন ব্রহ্ম। যদিও তিনি ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর গুড়দহ শীতলা মন্দির এলাকার বাসিন্দা। আক্রান্ত তাপস বিশ্বাসের বাইকের শোরুম আছে। পাশাপাশি তিনি নিজেকে তৃণমূল কর্মী হিসেবেও দাবি করছেন। মার খাওয়ার পর থেকেই পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই ব্যবসায়ী। জানা গিয়েছে, ভাটপাড়ার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামনগর রাহুতায় গ্যাস গোডাউনের পাশে তাপস-সহ চার-পাচঁজন মিলে ৮ কাঠা জমি কিনেছেন। আক্রান্তের অভিযোগ, কাউন্সিলর অরুন ব্রহ্ম ২৫ দিন আগে তার কাছে ১২ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল।
পাঁচদিন বাদেই ওই কাউন্সিলরকে তিনি দুই লক্ষ টাকা দেন। আক্রান্তের আরও অভিযোগ, এদিন সকালে তাকে ডেকে পাঠিয়ে বাকি দশ লক্ষ টাকা দাবি করেন ওই কাউন্সিলর। টাকা দিতে অস্বীকার করলে কাউন্সিলর তাকে সপাটে চড় মারেন বলে অভিযোগ তাপস বিশ্বাসের। যদিও জগদ্দল থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, অভিযোগ নেওয়া হয়নি অভিযোগ আক্রান্তের। বিষয়টি তিনি পুলিশ কমিশনার ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইমেল করে পাঠান। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কাউন্সিলর অরুন ব্রহ্ম বলেন, ওর অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওর কাছ থেকে অনেকেই জমি কিনেছেন। কিন্তু জমি রেজিস্ট্রি করে দেননি। দুপক্ষকে ডেকে মীমাংসা করা হয়েছিল। কিন্তু মীমাংসার আসরে কথা অনুযায়ী, ওনি তা মানছেন না। কথা দিয়ে কেন কথা রাখেনি, এটা বলতেই তাপস তাঁর দিকে তেড়ে আসে। তখনই ওকে একটা থাপ্পড় মেরেছি বলে দাবি করলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি সন্দীপ ব্যানার্জি বলেন, অরুন ব্রহ্মের রেপুটেশন সকলেরই জানা। ওনার এলাকায় এই ধরনের ঘটনা আকছার ঘটে। কিন্তু এবারে থাপ্পড় মারায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post