সুরশ্রী রায় চৌধুরী: রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে রাজ্য বিজেপির সব সেল ভেঙে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে যতগুলি সেল রয়েছে বিজেপি, সেগুলি আপাতত ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সেলগুলি গঠন হবে ও নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হবে। মিডিয়া সেল, স্বাস্থ্য সেল, শিল্প সেল, লিগাল সেল সহ রাজ্য বিজেপির যে সব সেল রয়েছে, তার সবকটিই ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন চাঁদের মাটিতে কুঁড়েঘর! অবশেষে রহস্য উন্মোচন করল চিনা রোভার
কী কারণে এগুলি ভাঙা হল, তা স্পষ্ট নয়। মূলত দুটি কারণ নিয়েই রয়েছে জল্পনা। নতুন রাজ্য সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন করে রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কারণে সেলগুলিও নতুন করে গঠন করা হতে পারে। আবার একাংশের মতে, দলের অন্দরে যে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে, তার জেরেও রাজ্য বিজেপির তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। নতুন রাজ্য কমিটি গঠন হওয়ার পর গত কয়েকদিনে রাজ্য বিজেপির অন্দরের বিদ্রোহ প্রকট হয়েছে। অনেক নেতাই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন। এই সব সেলগুলিতেও এমন অনেক নেতা রয়েছেন যাঁদের বিদ্রোহী তকমা দেওয়া হচ্ছে। তাই তাঁদের ছেঁটে ফেলতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন Magawa : ৮ বছর বয়সে মারা গেল ল্যান্ডমাইন-খোঁজা ইঁদুর মাগাওয়া
এ ছাড়া কিছুদিন আগেই বাঁকুড়ার পাঁচ বিধায়ক দলের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন একসঙ্গে। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর জেলার সাংগঠনিক জেলা সভাপতিও পরিবর্তন করা হয়েছে। বাঁকুড়ায় সুনীল রুদ্র মণ্ডল ও বিষ্ণুপুরে বীলেশ্বর সিংহকে। সেই নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল। বিজেপি বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রীর বক্তব্য, পরিবর্তন করে যাঁদের আনা হচ্ছে, তাতে সাংগঠনিক কাঠামো আরও দুর্বল হবে। এরই মধ্যে আবার জল্পনা উস্কে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘শান্তনু ঠাকুর বা অন্যান্য বিক্ষুব্ধরা অদূর ভবিষ্যতে বিজেপিতে থাকবে না।’
Discussion about this post