নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- সারা রাজ্য জুড়ে চলছে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার। সে বিষয়ে জামালপুরে অনেকটাই এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার ২২শে জুন দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে দুটি জায়গায় সভা করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। তিনি জামালপুর ২ অঞ্চলের বকুল তলায় ও চকদিঘি অঞ্চলের মনিরামবাটিতে সভা করেন । সভায় উপস্থিত ছিলেন, এস বি এস টি চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মন্ডল, বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান, জেলা পরিষদের দুই প্রার্থী মিঠু মাঝি ও কল্পনা সাতরা, ভূতনাথ মালিক, সাহাবুদ্দিন মন্ডল, সহ দুটি অঞ্চলের পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ অন্যান্যরা।
উপস্থিত কর্মীদের কাছে তথ্য সমৃদ্ধ বক্তব্য তুলে ধরেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। একের পর এক তথ্যে তুলে ধরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও সিপিআইএমের তীব্র বিরোধিতা করেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্র অন্যায় ভাবে আটকে রেখেছেন। বার বার দরবার করেও তার সুরাহা হয় নি। অন্য দিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা সরকার পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কৃষকদের জন্য কি কি করেছেন তার খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি মানুষকে বলেন যুমলাবাজ দলকে বিশ্বাস করবেন? না মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করবেন? তিনি জামালপুরের তৃণমূলের সকল প্রার্থী দের বিপুল ভোটে জযলাভ করানোর কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার মনিরামবাটির সভা থেকে তাঁর হাত থেকে জারগ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়নপুর গ্রামের ১৩টি বিজেপি পরিবার থেকে প্রায় ৬০ জন ফিরোজ মল্লিক, সৈয়দুল মল্লিক, রাজন মল্লিক সহ অন্যান্যরা তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি বলেন, বিগত ৫ বছরের পঞ্চায়েতের মাধ্যমে যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে করে বিরোধীরা সেভাবে কোনো সুবিধা করতে পারবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়ন দেখেই তো পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করলেন। ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান বলেন, ভোট হওয়ার অপেক্ষা তৃণমূল প্রার্থীরা বিপুল ভোট জয়লাভ করবেন।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post