সোমবার ফের আলিপুরের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে হাজিরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। সশরীরে হাজিরা এস পি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সাহা, প্রদীপ সিং ও প্রসন্ন রায়েরও। এসএসসি-র গ্রুপ সি মামলা ও নবম-দশম শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজত শেষে আজ হাজিরা। ইতিমধ্যেই পার্থকে নিয়ে রওনা দিয়েছে পুলিশ। আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আলিপুর আদালতে হাজিরা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশিপাশি বাকি ছয় জনও (এস পি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সাহা, প্রদীপ সিং ও প্রসন্ন রায়) আদালতে উদ্দেশে রওনা দেন। পুলিশের সাদা সুমো গাড়িতে করে এ দিন আদালতে নিয়ে আসা হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে। গোটা আদালত চত্বরে জোরদার রয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এর আগে হাজিরা দিন মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন এই মন্ত্রীকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁদের চুপ থাকার কথাও বলেছিলেন তিনি। তবে আজ পুলিশের গাড়ি থেকে নামার সময় তাঁর চেহারায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে তিনি বিধ্বস্ত রয়েছেন। অন্যান্য দিন তিনি কিছু বলার চেষ্টা করে থাকেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। কিন্তু আজ কার্যত নীরব ছিলেন।
বিগত দিনে অর্থাৎ সওয়াল-জবাব পর্ব চলাকালীন দেখা গিয়েছিল পার্থর শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরেছিলেন আইনজীবীরা। এমনকী তিনি স্বয়ং হাতজোড় করে বিচারককে বলেছিলেন তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সর্বপোরি তিনি বলতে চেয়েছিলেন তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সূত্রে খবর, আজকে যখন তাঁর শুনানির সময় ধার্য হবে তখন তাঁর আইনজীবীরা বিচারকের কাছে প্রাক্তন মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে জামিনের আবেদন করতে পারেন। অপরদিকে, কোমর বেঁধে নেমেছে সিবিআইও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে বেশ কিছু নখি তাদের হাতে এসেছে। সেইগুলি দেখিয়ে জামিন আটকানোর চেষ্টা করবেন তাঁরা। এখন দেখার সওয়াল-জবাব পর্বের শেষে কী হয়।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post