নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- নার্সিং ট্রেনিং এর নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পূর্ব বর্ধমানে। বিভিন্ন সংস্থার নাম করে বেকার যুবক যুবতীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ পূর্ব বর্ধমান জেলার, কালনার ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বৈদ্য পুরের নিবাসী অভিরূপ ঘোষের বিরুদ্ধে। জানা যায় অভিরূপ ঘোষ এডুকেশনাল কনসালটেন্সি হিসেবে কাজ করতো, প্রায় ৮ থেকে ৯ বছর যাবৎ।
অভিযোগ ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন যুবক যুবতীর থেকে বাইরে নার্সিং এর কোর্সের এডমিশনের নাম করে বিভিন্নভাবে টাকা টাকা হাতিয়ে নেন অভিযুক্ত অভিরূপ ঘোষ। জানা গেছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার মতো পেমেন্ট করে ছাত্র-ছাত্রীরা। ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি টাকা পেমেন্ট করা হয় অভিযুক্ত অভিরূপ ঘোষ কে এমনটাই জানিয়েছেন অসহায় যুবক যুবতীরা। আরো অভিযোগ ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪০ জন ছাত্রছাত্রী কোন রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট পায়নি। এমনকি যুবক যুবতীদের অরিজিনাল সার্টিফিকেট ব্যাঙ্গালোর পাঠানোর নামে হাতিয়ে নেয় অভিরূপ ঘোষ।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি স্বরাজ ঘোষ বলেন, আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আসে ১৫ থেকে ১৬ জন ছাত্রছাত্রীর মাধ্যমে। মোট ৪০ জন ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে অভিরূপ ঘোষ টাকা নেয়। তারা যাতে নার্সিং কলেজে ভর্তি হতে পারে ওই জন্য অভিরূপ ঘোষকে টাকা দেয়। ছাত্র-ছাত্রীরা জানায় তারা অ্যাড দেখে তার সাথে যোগাযোগ করেন। অভিরূপ ঘোষ নিজেও বলেন আমি সমস্ত নার্সিং কলেজে ভর্তি করিয়ে দিতে পারবো।
মোট আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন অভিরূপ ঘোষ এবং তাদের কাছ থেকে অরজিনাল অরজিনাল ডকুমেন্টস নেন। কিছুদিন আগে একটি ছেলেকে ফোন করে বলেন, ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অরজিনাল অরজিনাল ডকুমেন্টস ফেরত পাবে। স্বরাজ ঘোষ গলসি নার্সিং কলেজে ফোন করে জানেন, অভিরূপ ঘোষ নামে কোন ব্যক্তি আপনাদের কলেজে টাকা দিয়েছেন। ওখানকার কর্তৃপক্ষ জানায় কোনরকম টাকা দেয়নি। এ থেকেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে প্রতারণা করেছেন অভিরূপ ঘোষ।
নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post