আমজাদ আলী,মালদা: মালদহের সামসির মতিগঞ্জ এলাকায় সমাজসেবা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতি এবং প্রসূতির সঙ্গে দুরব্যবহারের অভিযোগ। দালাল চক্রের মাধ্যমে রোগীদের ভর্তি নিচ্ছে নার্সিংহোম। চিকিৎসার জন্য কারি কারি টাকা নেওয়া হলেও মিলছে না পরিষেবা। চিকিৎসার নামে চলছে ব্যবসা।অভিযোগ প্রসূতির পরিবারের। গত বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পাড়ো গ্রামের মৌসুমী বেগম প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হয়। ঐদিন রাতেই সিজার করে তার শিশু কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।কিন্তু জন্মের পর শিশু কন্যার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে।
চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোক অন্যত্র নিয়ে যেতে চাইলে ছাড়তে চাইনি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তারপর ওই দিন রাতেই অন্য এক সদ্যোজাত শিশু সন্তানের মৃত্যু দেখে মৌসুমী বেগমের স্বামী তার শিশু কন্যাকে কার্যত জোর করে নিয়ে যায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এদিকে তারপর থেকে মৌসুমী বেগমের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তাকে খাওয়ার পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই মুহূর্তে মৌসুমীর সদ্যোজাত শিশু-কন্যা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
মৌসুমিকে ডিসচার্জ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার পরিবারের লোক বিল মেটাতে এলে গালিগালাজ করে হুমকি দেয় নার্সিংহোমের মালিক আনারুল হক। এমনকি সংবাদ মাধ্যম সেই খবর করতে গেলে সাংবাদিকদের ধাক্কাধাক্কি করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী।নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের পদক্ষেপ নেওয়ার আরজি পরিবারের। রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post