সুরশ্রী রায় চৌধুরী: ২৫ মার্চ থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চলছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের এই মেলা। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মেলার মাধ্যমে প্রচুর মানুষকে সচেতন করা যায়। এই মেলাতে বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ দেখাতে হচ্ছে। সেই দেখেই চমকে উঠছেন অনেকে। শুধুমাত্র সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন খরচ ৭৫ লক্ষ টাকা।টিভিতে বিজ্ঞাপনের জন্য ৮ লক্ষ টাকা খরচ। হোডিং, চেয়ার-টেবিল, বিদ্যুৎ-এর জন্য বরাদ্দ ৫০ লক্ষ টাকার উপরে। জলখাবারের জন্য ১২ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি সঞ্চালনার পুরো প্রক্রিয়ার জন্য খরচ ৯ লক্ষ টাকা। উপহার স্বরূপ ১ লক্ষ টাকার খরচ করার কথা বলা হয়েছে। মোট খরচ ১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার বেশি।
আরো পড়ুন বনধ সফল করতে ভাটপাড়ায় বামেদের মিছিল
সম্প্রতি বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি জানান, যে পরিমাণ আয় ঠিক সেই পরিমাণ ব্যায় করতে হবে। অতিরিক্ত খরচে টানতে হবে লাগাম। সেখানেই প্রশ্ন উঠছে এই রকম একটি মেলাতে কীভাবে এত খরচ করা হচ্ছে। গোটা মেলাটি তিনদিনের। এই তিনদিনে মোট খরচ হয়েছে ১ কোটি টাকার উপরে। সূত্রের খবর, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে খরচ ছিল ১১ লক্ষের কাছাকাছি। তারপর এই বছর সেই খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে কোটিতে। গোটা বিষয়ে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, “এই মেলাতে প্রচুর অতিথি আসেন।বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন তাঁরা। তাঁদের আমরা নিজেদের কাছে নিয়ে এসে বসাই। চা-কফি থেকে সমস্ত পানীয় থাকে। উপহার দেওয়া হয় তাঁদের। এই বিষয়ে এর থেকে বেশি কোনও মন্তব্য করতে পারব না।যে অফিসাররা এত বছর ধরে মেলা করছেন তাঁরা ভালো বলতে পারবেন। ” উদ্দেশ্য ভালো হতেই পারে। কিন্তু বাড়তি করছ নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠছে।
Discussion about this post