সুরশ্রী রায় চৌধুরী: বৃহস্পতিবার ‘পিপ্পা’ ছবিতে ব্যবহৃত ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটির স্বত্ব হস্তান্তর নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন নজরুলের পৌত্র কাজী অরিন্দম এবং পৌত্রী খিলখিল কাজী।
গত এক সপ্তাহ ধরে কাজী নজরুল ইসলামের রচিত ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
‘পিপ্পা’ ছবির সুরকার এ আর রহমান গানটির সুর বিকৃত করেছেন বলে অভিযোগ। তবে ছবির নির্মাতারা জানিয়েছেন, তাঁরা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করেছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে স্বত্ব বিক্রি নিয়ে। স্বত্ব হস্তান্তর নিয়ে কবির পরিবার আপাতত দুই শিবিরে বিভক্ত। নজরুল-পৌত্র কাজী অরিন্দম এবং খিলখিল কাজীর দাবি, তাঁদের না জানিয়েই কবির গানের স্বত্ব বিক্রি করেছিলেন দাদা অনির্বাণ কাজী। একই মত তাঁর আর এক পৌত্রী অনিন্দিতা কাজীর। যিনি এই মুহূর্তে রয়েছেন আমেরিকাতে। ১৬ নভেম্বর সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন অরিন্দম এবং খিলখিল। এ আর রহমানের তৈরি করা গানটি প্রকাশ্যে আসার পরই যাবতীয় বিতর্কের শুরু। খিলখিল বাংলাদেশেই থাকেন। এই ঘটনার জানার পরই তিনি কলকাতায় চলে এসেছেন। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অরিন্দমের স্ত্রী সুপর্ণা ভৌমিক এবং তাঁদের পুত্র-কন্যা অনুরাগ ও অভীপ্সা।
বড় দাদা অনির্বাণের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন অরিন্দম। অন্য দিকে, খিলখিলের দাবি, “আমরা চাই, রহমান এবং রায় কপূর ফিল্মস্-এর তরফ থেকে যেন জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়া হয়।” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কলকাতায় কেন নজরুল বিষয়ক কোনও প্রতিষ্ঠান নেই? দাদা অনির্বাণের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ অরিন্দমের। ১০ নভেম্বরের পর থেকে একাধিক বার অনির্বাণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় তাঁর তরফ থেকে। কিন্তু কোনও জবাব মেলেনি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post