সুরশ্রী রায় চৌধুরী: ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিঃস্ব পরিবারের পাশে দাঁড়াল বীরেন্দ্র সহবাগ। ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ২৭৫ জন। আহত ১১০০-র বেশি। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নিঃস্ব হয়ে গেছে অসংখ্য পরিবার।দুর্ঘটনায় হয়ত কারও বাবা-মা মারা গিয়েছে। বীরেন্দ্র সহবাগ নিহতদের সন্তানকে, নিজের স্কুলে নিখরচায় শিক্ষা দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন । বোর্ডিংয়ে থেকে পড়াশোনা করতে পারবে তারা। রবিবার টুইটারে একটি পোস্ট করেন সহবাগ। দুর্ঘটনার একটি ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, “এই ছবি অনেক দিন ধরে আমাদের তাড়া করে বেড়াবে। শোকের এই সময়ে সবার আগে যে কাজটা আমি করতে পারি তা হল, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের সন্তানদের দেখভাল করা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ছেলেমেয়ে যারা রয়েছে, তাদের সহবাগ আন্তর্জাতিক স্কুলের বোর্ডিংয়ে নিখরচায় পড়াতে চাই।”
This image will haunt us for a long time.
In this hour of grief, the least I can do is to take care of education of children of those who lost their life in this tragic accident. I offer such children free education at Sehwag International School’s boarding facility 🙏🏼 pic.twitter.com/b9DAuWEoTy
— Virender Sehwag (@virendersehwag) June 4, 2023
সহবাগের এই আচরণের মুগ্ধ সাধারণ মানুষ থেকে ক্রিকেটপ্রেমীরা। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আপনার মতো মানুষের থেকেই এটা আশা করা যায়। অনেক ধন্যবাদ।” আর এক জন লিখেছেন, “অসাধারণ আচরণ। মানবিকতার ব্যাপারে সবার উপরে উঠে ভাবলেন আপনি। একটা দুর্ঘটনায় গোটা দেশ যে ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, সেটা দেখেই ভাল লাগছে। আশা করি সবাই মিলে এই দুর্ঘটনা দ্রুত পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।” সহবাগের এই পোস্ট ‘ভাইরাল’ হয়েছে সমাজমাধ্যমে। অনেকেই কুর্নিশ করেছেন তাঁর এই প্রস্তাব।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post