সুরশ্রী রায় চৌধুরী: পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি বিশেষ করে একশো দিনের কাজ, জবকার্ড সংক্রান্ত বেনিয়ম, বার্ধক্য ভাতা-সহ নানা প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে যা অভিযোগ আছে, সেগুলিকে হাতিয়ার করে নিচু তলায় আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় তারা। শাসকদলের নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধির হিসেব জনসমক্ষে এনে প্রচার শুরু করেছিল ‘পাহারায় পাবলিক’। এই কর্মসূচিতে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি পোস্টার, হোর্ডিং, ব্যানারের মাধ্যমেও প্রচার করে চলেছে সিপিএম। প্রচারে ভালো সাড়াও মিলেছে। পাশাপাশি ‘পাহারায় পাবলিক’ কর্মসূচিতে সাড়া পাওয়ার পরে পঞ্চায়েত স্তরের লুট, দুর্নীতির অভিযোগের তথ্য মানুষের কাছ থেকে নিয়ে সামনে আনার লক্ষ্যে সিপিএম শুরু করছে ‘নজরে পঞ্চায়েত’।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে রবিবার এই কর্মসূচি ঘোষণা করতে গিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘পাহারায় পাবলিকের পরে ‘নজরে পঞ্চায়েত’ চলবে। বিভিন্ন ‘ইনসেনটিভ স্কিম’ নিয়ে পঞ্চায়েত স্তর থেকে দাবি জানানো হবে। লুটের কত এফআইআর হয়, দেখা যাক! বিডিও, এসডিও-কে এক মাসের মধ্যে গ্রামসভা ডাকার নির্দেশ দিতে হবে, এই দাবি আমরা করব। পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে গ্রামসভাতেই আলোচনা হবে। প্রশাসন না ডাকলে আমাদের যেখানে যা শক্তি আছে, তা-ই নিয়েই লোকের কাছে এই দাবি তুলব।’’ একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘যে সব দুর্নীতি আজ উঠে আসছে, সে সব হয়েছে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জন্য। পুলিশকে পঙ্গু করে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন আগে ব্যবস্থা নিতে বলেননি? আর বিরোধীরা অভিযোগ জানাতে গেলে তাদেরই গাঁজা-সহ নানা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে!’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের আরও প্রশ্ন, ‘‘বগটুই-কাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন সব অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। বাসন্তীতে শনিবারই তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কোথা থেকে এল অস্ত্র? এখন দেখা যাক, কত এফআইআর হয়!’’ রাজ্য জুড়ে দুর্নীতির প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি নিয়ে পথে নেমেছে সিপিএম। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, আইন অমান্যের মতো কর্মসূচি চলছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি যেভাবে চলছে তারই পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘুঁটি সাজাতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। তার অঙ্গ হিসেবে আঞ্চলিক বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে সিপিএম।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post