চেন্নাই সুপার কিংস ১৮৮/৭
দিল্লি ক্যাপিটালস ১৮৯/৩
৭ উইকেটে জয়ী দিল্লি (৮ বল বাকি থাকতেই)
নিজস্ব প্রতিবেদন: ম্যাচ রিপোর্টে লেখার মতো বিশেষ কোনও উপাদানই রাখলেন না পৃথ্বী শ (Prithvi Shaw) ও শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)! আরব সাগরের তীরে তাঁদের ব্যাটে যে ঝড় উঠল শনিবার রাতে, তা দীর্ঘদিন মনে রাখবে ওয়াংখেড়ে (Wankhede Stadium)। দিল্লি ক্যাপিটালসের (DC) দুই দুরন্ত ব্যাটসম্যানের সৌজন্যেই রিকি পন্টিংয়ের টিম প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে (CSK) ৭ উইকেটে হারিয়ে বিজয়ডঙ্কা ওড়াল।
এ যেন জুটিতে রান লুটির খেলা চলল! চেন্নাইয়ের ১৮৮ রান তাড়া করতে নেমে যে গতির সঞ্চার করলেন দিল্লির দুই ওপেনার, তা যেন চোখের নিমেষে হয়ে গেল। বাধ্যতামূলক পাওয়ার-প্লে’র (প্রথম ৬ ওভার) পুরো ফায়দা তুললেন দু’জনে। যোগ করলেন ৬৫ রান। ১৩.৩ ওভার ব্যাট করে পৃথ্বী-শিখরের জুটি স্কোরবোর্ডে তুলল ১৩৮ রান। ৩৮ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেলেন পৃথ্বী। নিজের ইনিংসে রাখলেন ৯টি চার ও ৩টি ছয়। ডোয়েন ব্র্যাভোর কাটারে মইন আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। যদিও জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করেই ফেরেন পৃথ্বী।
শেষ ৬ ওভারে ৫১ রান তুলে জেতার জন্য দিল্লির ব্যাটসম্যানের কোনও অভাব ছিল না। ক্রিজে ধাওয়ান তো ছিলেনই, তিনে এলেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। তবে পন্থের সঙ্গে কিছুটা পথ গিয়ে থামতে হয় গব্বরকে। জাতীয় দলের সতীর্থ শার্দূল ঠাকুরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ধাওয়ান। ৫৪ বলে ৮৫ করে থামেন তিনি। ১০টি চার ও ২টি ছয় মারেন বাঁ-হাতি মারকুটে ব্যাটসম্যান। পন্থকে বৈতরণী পার করাতে নামেন অজি অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোইনিস। স্টোইনিস ১৪ করে শার্দূলের বলে ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক পন্থ (১৪) অপরাজিত থেকে ৮ বল বাকি থাকতেই ম্য়াচ বার করে দেন।
ওয়াংখেড়ের চরিত্র ও আবহাওয়ার কথা ভেবেই দুই অধিনায়কই টস জিতে ফিল্ডিং করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু পন্থেরভাগ্য সহায় দেয় এদিনের মেগা ম্যাচে। টস জেতেন পন্থ। এমএস ধোনির (MS Dhoni) চেন্নাইকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান তিনি। প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই সাত উইকেটে তুলেছিল ১৮৮। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ফাফ দুপ্লেসির ওপেনিং জুটি এদিন ডাঁহা ফেল করে। সাত রানের মধ্যেই দুই ব্যাটসম্যান ফিরে যান। শুরুতেই জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। দলের হাল ধরতে মাঠে নামেন মইন আলি ও সুরেশ রায়না। জুটি বেঁধে ৩৮ বলে ৫৩ রান তোলেন তাঁরা। অশ্বিনের বলে ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মইন। ২৪ বলে ঝোড়ো ৩৪ রানের ইনিংস খেলা ব্রিটিশ অলরাউন্ডার ৪টি চার ও ২টি ৬ হাঁকান।
এরপর আম্বাতি রায়ডুকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যান সুরেশ রায়না। কিন্তু রায়ডু মিডল অর্ডারে যে খেলাটা খেলেন, এদিন সেই খেলাটা খেলতে পারলেন না তিনি। ১৬ বলে ২৩ করে আউট হন তিনি। ১৪ ওভারে রায়ডু ফেরেন আর তার ঠিক ২ ওভার পরেই আউট হন রায়না। তবে দুরন্ত অর্ধ-শতরানে আইপিএল প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখেন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। ৩৬ বলে ৫৪ করে রানআউট হন ফর্মে থাকা রায়না। এদিন তাঁর হাত থেতে ৩টি চার ও ৪টি ছয় আসে। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা এমএস ধোনির দিকেই ছিল তাঁর আপামোর ফ্যানেদের ফোকাস। কিন্তু নেটে ঝড় তোলা মাহি এদিন মাত্র ২ বলের জন্য ক্রিজে ছিলেন। আবেশ খানের বলে কোনও রান না করেই ক্লিন বোল্ড হয়ে যান চেন্নাইয়ের ক্যাপ্টেন। রবীন্দ্র জাদেজা (২৬) ও স্যাম কারান (৩৪) শেষ পর্যন্ত লড়াই করে চেন্নাইয়ের স্কোরবোর্ডে তুললেন ১৮৮।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post