তপন দাস, নীলফামারী প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুইসেল বাজিয়ে, পতাকা নেড়ে উদ্বোধন করেন চিলাহাটি-ঢাকা রুটের ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ নতুন যাত্রীবাহী ট্রেনটি। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে ট্রেনের উদ্বোধন করেন। ট্রেনটির উদ্বোধন উপলক্ষে নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশনে (০৪ জুন) রোববার সকালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রেলওয়েসচিব মো. হুমায়ুন কবীর এবং রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জানা গেছে, আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ ৮০০ জন যাত্রী বহন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন চিলাহাটি এক্সপ্রেস সপ্তাহে ছয় দিন চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চলাচল করবে।বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রেলযোগাযোগের ক্ষেত্রে চিলাহাটি স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হয়ে উঠেছে। নীলফামারীর চিলাহাটির সঙ্গে ভারতের হলদিবাড়ীর রেলযোগাযোগ আগেই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পণ্যবোঝাই ওয়াগনের পাশাপাশি এই রুটে আন্তদেশীয় ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ চলাচল করছে।২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে মোট ৭৪০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ স্থাপন করেছে। ২৮০ কিলোমিটার রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করেছে।
আর ১ হাজার ৩০৮ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মোট ১১৪টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ করা হয়েছে। নতুন ৬২৩টি যাত্রীবাহী বগি ও ৫১৬টি পণ্যবাহী ওয়াগন সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৩০টি রেলস্টেশনের সিগন্যালিং সিস্টেম আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে যাত্রীদের চলাচলের জন্য ১৪২টি নতুন ট্রেন চলাচল করছে। দীর্ঘদিন আন্দোলনের অবশান ঘটিয়ে দিবাকালীন আন্তঃনগর ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি পেয়ে এলাকায় বইছে আনন্দের জোয়ার। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এলাকাবাসী জানান, এটি আমাদের দীর্ঘদিনের চাওয়া আজ সেটি পূরন হলো। এসময় আসন সংখ্যা আরো বাড়ানোর দাবী জানান এলাকার অনেকেই।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post