নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :- বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে একই পরিবারের চার সদস্যের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রবিবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো খড়দায়। এদিন বেলায় বলরাম সেবা মন্দির সংলগ্ন এম এস মুখার্জি রোডের করবী টাওয়ার নামক আবাসনের দ্বিতলের একটি ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ পান আবাসিকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দা থানার পুলিশ। বন্ধ ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙতেই হতচকিত সকলেই। ঘরের মেঝে ও বিছানায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছে তিনজনের দেহ। পাশের একটি ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে গৃহকর্তা।
পুলিশ চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত গৃহকর্তা বৃন্দাবন কর্মকারের ( ৫০) ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড় কাপড়ের দোকান আছে। স্ত্রী দেবশ্রী কর্মকারের বয়স (৪১)। কন্যার বয়স ১৬ বছর এবং পুত্রের বয়স ৮ বছর। পুলিশ ফ্ল্যাট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। তাতে উল্লেখ, স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক তিনি মেনে নিতে পারেন নি। অন্যের সঙ্গে মেলামেশায় বারণ করা সত্ত্বেও, স্ত্রী তাঁর কথায় কোনও কর্ণপাত করেনি।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন কাপড় ব্যবসায়ী। এদিকে মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন খড়দা পুরসভার চেয়ারপার্সন নীলু সরকার। তিনি বলেন, গৃহকর্তা পাড়ার কালী পুজোয় মূর্তি ও কাপড় দিয়েছিলেন। এলাকার লোকজনের কাছে শুনেছি প্রতিমার বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যোগও দিয়েছিলেন। বৃন্দাবন বাবুর আদিবাড়ি খড়দার আদর্শ পল্লীতে। কিন্তু ওখানকার বাড়ি-জমি নাকি ওনি বিক্রি করে দিয়েছেন।
একবছর ধরে ওনি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ফ্ল্যাটে ভাড়া ছিলেন। তবে দুই সন্তানকে মেরে ফেলার ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। ঘটনাস্থলে এসে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল আশীষ মৌর্য বলেন, ওই ফ্ল্যাট থেকে চারজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে পাশের ঘর থেকে গৃহকর্তা বৃন্দাবন কর্মকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কি কারনে এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ টিম এনে তদন্ত করা হবে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post