নিজস্ব প্রতিনিধি (কোলকাতা):- উনি নিজের জীবনে প্রভূত কষ্ট পেয়েছেন, অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে নারীদের প্রতি পুরুষ শাসিত সমাজের রক্তচক্ষুকে কিছুটা উপেক্ষা করেই একসময় শিশু শিল্পী রূপে উনি নিজের যাত্রা শুরু করেছিলেন। চলার পথে বিভিন্ন প্রতিকূলতা কাটিয়ে যখন উনি বিনোদন জগতে নিজের পরিচয় রাখতে সমর্থ হন, ঠিক তখন দৈব দুর্বিপাকে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শরীরের একাংশ কর্মহীন ও অসাড় হয়ে পড়ে। কিন্তু তার পরেও হার না মেনে নব উদ্যমে তিনি নতুন প্রতিভাদের বিকাশের সহায়ক মঞ্চ বানিয়েছেন।
ঠিক ধরেছেন, আমরা এতক্ষণ ধরে আপনাদের কাছে রাজধানীর সুপ্রসিদ্ধ মডেল, অভিনেত্রী তথা শো-অর্গানাইজর হেনা কৌসর-এর সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। হেনা সাম্প্রতিক অতীতে বিউটি পেজেন্ট এইচ কে মিস্টার, মিস এবং মিসেস ইণ্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল শুরু করেছিলেন। দেখতে দেখতে এবার তা তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করল। এই মঞ্চ থেকে উনি কত নরনারীর যে স্বপ্ন পূরণ করছেন তা একমাত্র ঈশ্বর/খোদা-ই জানেন।
এবারের শো হয়েছে বড়োই আকর্ষণীয়। এবার মূক ও বধির শিশু ও কিশোর কিশোরীরা তাদের নিজস্ব শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও রাম্পের উপর নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর দেখিয়েছে। বিচারক রূপে ডাঃ আরিফ নাসির বট, রোহিত সুমন, ডালিয়া মিত্রা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাগমণি উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে মুম্বই থেকে উড়ে এসেছিলেন বলিউড ফিল্ম ইণ্ডাস্ট্রীর অন্যতম অভিনেতা রাজা মুরাদ।
অনুষ্ঠান দেখে রাজা মুরাদ বলেছেন, এটা এমন এক বিউটি পেজেন্ট যেখানে যেকোনো ক্ষেত্র থেকেই নরনারীরা যোগদান করে পুরস্কার পেতে পারেন, বয়সের কোনো সীমা নেই, এর পাশাপাশি এই শো-এর যিনি রূপকার সেই হেনা কৌসর নিজেই ‘মিসেস এশিয়া’ খেতাব জিতেছিলেন।
রাজা মুরাদ আরো বলেন, যে সকল বাচ্চা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বিভাগে রয়েছে তাদের রাম্পে হাঁটার সুযোগ করে দেওয়াটাই তৃতীয় বর্ষ (সিজন থ্রী)-র সবচেয়ে বড়ো বিশেষত্ব। সত্যি এটা একটা খুব বড়ো কথা। উর্দুতে বলা হয়- ‘নশা পিলাকে গিরানা তো সবকো আতা হৈ, মজা তো তব হৈ কি গিরনো কো থাম লে সাকী’ অর্থাৎ ‘নেশার দ্রব্য খাইয়ে ফেলে তো সবাই দিতে পারে, আনন্দ তো তখনই হয় যখন পতনশীল কো ধরে ফেলা যায়।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post