সুরশ্রী রায় চৌধুরী : আগামী ৫ জুন মাত্র চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে ছাড়া পাচ্ছেন সারদা কাণ্ডে (Sarada Case) অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায় (Devjani Mukherjee)। দশ বছর পর জেলমুক্তি পেয়ে বাড়ি যাচ্ছেন সারদা কাণ্ডে (Sarada Case) অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায় (Devjani Mukherjee)। অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার জন্য মিলেছে এই ছাড়। সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন (Sudipta Sen) এবং অন্যতম কর্ত্রী দেবযানী মুখ্যোপাধ্যায়। সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরই তাঁরা পালিয়ে যান।
আগামী ৫ জুন তিনি মাত্র চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাড়ি যেতে পারবেন অসুস্থ মাকে দেখতে। সেই মোতাবেক জেল কর্তৃপক্ষের তরফেও যাবতীয় আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশি প্রহরার জন্য লালবাজারে চিঠি দেওয়া হয়েছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের তরফে। সম্প্রতি দেবযানীর আইনজীবী অভিজিৎ বল আবেদন করেন, মেয়েকে এভাবে কারাগারের ভিতরে দেখতে পারছেন না মা। এতদিন জেল থেকেই মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন দেবযানী। কয়েকদিন ধরেই তাঁর মা অত্যন্ত অসুস্থ। এরপরেই প্যারোলে বাড়ি যাওয়ার জন্য আবেদন জানান দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
বিশেষ সিবিআই আদালতে দেবযানীর প্যারোলের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। ৫ জুন চার ঘণ্টার জন্য পুলিশি প্রহরায় তাঁকে ঢাকুরিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা। ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল সারদা মামলায় অভিযুক্ত সুদীপ্ত ও দেবযানীকে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। তার পর থেকে চলছে মামলার তদন্ত। এই মামলায় শাসকদলের একাধিক নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রীর নাম জড়ায়। তাদের মধ্যে অনেকেই রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। এই মামলা কোথায় দাঁড়িয়ে, সে নিয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই। কিন্তু সুদীপ্ত বা দেবযানী কেউই জামিন পাননি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post