সুরশ্রী রায় চৌধুরী: দিঘার জমি দখল করে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা হয়েছে বলে গুরতর অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কোনওরকম নোটিস এবং ক্ষতিপূরণ ছাড়াই ব্যক্তিগত জমি দখল করে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে মৎস্যমন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক অখিল গিরির কাছে গেলে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দিয়েছেন। নিরুপায় হয়ে জমির মালিক শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছেই লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী অখিল গিরি।
দিঘা সি-হক গোলা থেকে মোহনা পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের রাস্তা তৈরির সময় শেখ এঝারুলের জমি না জানিয়ে অধিগ্রহণ করা সহ ন্যায্য ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে তৎকালীন চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী, এলাকার বিধায়ক তথা বর্তমানে মন্ত্রী অখিল গিরি সহ উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে বারে বারে ছুটে কোন লাভ হয়নি। উলটে মন্ত্রী অখিল গিরি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দেন বলে গুরুতর অভিযোগ জমির মালিক শেখ এঝারুলের। এঝারুলের আরও অভিযোগ, উন্নয়ন পর্ষদের ইঞ্জিনিয়ার দীপঙ্কর পাত্রের কাছে গেলে তিনি মোটা অংকের টাকা উৎকোচ চান। যদিও ওই ইঞ্জিনিয়ার দীপঙ্কর পাত্র বলেন রাস্তা পর্ষদ তৈরি করেছে, এটা ঠিক। কিন্তু ওই মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের দায়িত্বে তিনি ছিলেন না, ছিলেন অন্য ইঞ্জিনিয়ার।
কীভাবে রাস্তা তৈরি হয়েছে, জমি কীভাবে অধিগ্রহণ করা হয়েছে, সবই পর্ষদের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। ২০১৯ সাল নাগাদ দিঘা মোহনা থেকে ওল্ড দিঘা সি-হক ঘাট পর্যন্ত একটি পাকা রাস্তা তৈরি করে ডিএসডিএ। একেবারে সমুদ্রের ধার বরাবর ওই রাস্তাটিও পরবর্তীকালে সৈকত সরণির সঙ্গে জুড়েছে। কাঁথি-১ ব্লকের বাসিন্দা শেখ এঝারুল দাবি করেছেন, দিঘার গঙ্গাধরপুর মৌজায় পৃথক দাগে ৪১ ডেসমিল সম্পত্তি রয়েছে। দলিল এবং রেকর্ডভুক্ত এই সম্পত্তির অধিকাংশ অংশ ২০১৯ সালে দখল করে রাস্তা তৈরি করে ডিএসডিএ। এরপর সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধিকবার ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েও কিছু লাভ হয় নি। অবশেষে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে মৎস্যমন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক অখিল গিরির কাছে গেলে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দিয়েছেন।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post