নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: শুক্রবার মুক্তি পেল পরিচালক পায়েল চৌধুরীর প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের দ্বিভাষিক ছবি ‘দ্য ন্যকেট স্টোরি’র হিন্দি ভার্সান টি। ছবির কাহিনি লিখেছেন ডাঃ প্রবীর ভৌমিক। চিত্রনাট্য ও সংলাপ বুনেছেন পরিচালক স্বয়ং।’দ্য ন্যাকেট স্টোরি’ নামকরণটি ছবিতে রূপক হিসেবে ব্যবহার হয়েছে।আসলে পরিচালক ছবিতে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উলঙ্গ রূপ তুলে ধরতে চেয়েছেন।ছবিতে দেখা যাবে একটি মেয়ের জীবন সংগ্রাম।সে যখন ছোট ছিল তার কাকার কাছে যৌন নিপীড়ন সহ্য করতে থাকে।তার বিধবা অসহায় মা তার প্রতিবাদ করতে চেয়েও করতে পারেনি। এই মেয়েটি বড় হয়ে যাকে ভালোবাসে সেই প্রেমিকের কাছ থেকেও শারীরিক নির্যাতন ও যৌন নিপীড়ন সহ্য করতে থাকে। জোর করে প্রেমিক তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করে।
পরবর্তীকালে সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সাইক্রিয়াটিস্টের কাছে কাউন্সিলিং চলতে থাকে।পরবর্তীকালে সেই মেয়েটি মহিলা সাইক্রিয়াটিস্টের প্রেমে পড়ে ও মেয়েটির ভালোবাসার মধ্যে নিজের অস্তিত্ব, আশ্রয় ও সম্মান খুঁজে পায়।দুজনে যখন ভালোবাসার স্বপ্ন বুনতে শুরু করে সেই মেয়েটির সামনে দুটো মার্ডার হয়। সে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে এটা সত্যি নাকি এটা তার কল্পনা। এর পর কি হয় তা জানতে ছবিটি দেখতে হবে।
পরিচালক পায়েল চৌধুরী এই ছবির মাধ্যমে শিশু নির্যাতন,যৌন নিপীড়ন, গার্হস্থ্য সহিংসতা,সমকামিতা এবং সম্পর্কের নামে ধর্ষণ বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ছবিতে অভিনয় করেছেন পায়েল চক্রবর্তী, সুদীপ চক্রবর্তী, জিৎ চক্রবর্তী, মৃণালিনী চট্টোপাধ্যায়, সমর্পিতা বোস, প্রিয়ন্তিকা কর্মকার, জসবন্ত বিশ্বাস প্রমুখ। ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার দ্বায়িত্ব সামলেছেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়। দুটো গান রয়েছে ছবিতে।শুটিং হয়েছে ডুয়ার্স ও কলকাতায়।ছবির দৃশ্যগ্রহণ করেছেন নির্মল বোস, সম্পাদনা স্নেহাসিস গঙ্গোপাধ্যায়ের। স্বভূমি এন্টারটেইনমেন্টের নিবেদনায় ছবিটি প্রযোজনা করেছেন ডাঃ প্রবীর ভৌমিক।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post