শুভজিৎ মাখাল: চা একটি সতেজকারক পানীয়। ঘুম থেকে সকালে ওঠার পর প্রতিটি বাঙালি ঘরে চা তৈরি এবং পান করা হয় কিন্তু খুবই কম মানুষ চায়ের ইতিহাসের সাথে অবগত রয়েছে। আসুন জেনে নিন চায়ের ইতিহাস সম্বন্ধে। চা পান করা প্রচলিত হয় প্রাচীন চীনে প্রায় ২৭০০ বছর আগে। চীনের সম্রাট শেনং একটি গাছের তলায় বিশ্রাম করছিলেন এবং তার চাকরেরা খাওয়ার জল ফোটানোতে ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ দমকা হাওয়াতে সেই গাছের কিছু পাতা উড়ে পরে ফুটন্ত জলে। সম্রাট শেনং সম্রাট ছাড়াও একজন লতাপাতার ভেষজ গুণবিত্ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি প্রথমে সেই ফুটন্ত জলটিকে পান করেন ও বুঝতে পারেন এই নতুন পানীয় ‘চায়ের’ স্বাদ ও পুনরুদ্ধারকারী বৈশিষ্ট্য। শেনং এই নতুন পানীয়টিকে নামকরণ করেন “চা’অ” যার মানে খতিয়ে দেখা।

ধীরে ধীরে চায়ের উৎপাদন ও পান বৃদ্ধি পায় চীনে। প্রথম দিকে চাকে একটি ঔষধ হিসেবে দেখা হতো কিন্ত আসতে আসতে সকল গৃহে সহজলভ্য হওয়ায় কারণ এটিকে সতেজতা পানীয় হিসেবে গন্য করা হয়। চাকে প্রাচীন চীনে এতই প্রাধান্য দেওয়া হতো যে স্বয়ং চীনের সম্রাট চা গাছের চাষ ও চা পাতার প্রস্তুতি নিয়ন্ত্রণ করতো। চীন সাম্রাজ্যে অল্প বয়সের মেয়েদের রাখা হতো চা গাছের দেখাশোনার জন্য। এই অল্প বয়সের মেয়েদের রাখার কারণ তারা নম্রতা ও শুদ্ধতার প্রতীক। এছাড়াও তাদের রসুন, পেঁয়াজ ও মশলা জাতীয় খাবার থেকে বিরত রাখা হতো কারণ খাওয়ার পরে যাতে আঙ্গুলের গন্ধ চায়ের পাতায় মিশে না যায়। ১৭ শতক ওবধি একটি প্রকার চা চীনে উৎপাদন হতো সেটা হল “গ্ৰীন টি”। চায়ের চাষ ও পান চীনের পরস্পর রাজ্য তিব্বতে ছড়িয়ে পরে।

কিন্তু চীনের মতো তিব্বতে গাছের চাষ করা অতো সহজ ছিল না কারণ তিব্বতের আবহাওয়া ও পাথুরে জমি চা গাছের জন্য বন্ধুসুলভ নয় যার ফলে চীন থেকে চা তিব্বতে আমদানি করা হতো কাফেলার মাধ্যমে। চা জাপানে পৌঁছায় ৮০৪ নাগাদ যখন দুই জন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী কুকাই ও সাইচো চীনে আসে ধর্ম ও চীনা সংস্কৃতি চর্চা করতে। এই দুই টি সন্ন্যাসীর মধ্যে সাইচো জাপানে ফেরে চা গাছের বীজ নিয়ে। খুব শীঘ্রই জাপানি সংস্কৃতিতে চা নিজের ভিত শক্ত করে। ইউরোপে পর্তুগিজরা প্রথম চায়ের স্বাদ উপলব্দি করে। কিন্তু ডাচরা প্রথম চায়ের ব্যবসায়িক গুরুত্ব বোঝে। কিন্তু ইংরেজরা চায়ের ব্যবসায়ে চীনকে পরাস্ত করতে ভারতে পুরো দমে চায়ের বাগান বসিয়ে দেয় যার ফলে চা পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post