সুরশ্রী রায় চৌধুরী: বক্স অফিসে ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে দৃশ্যম টু। প্রথম দিনই এই ছবি বক্স অফিসে ১৬ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। ২০১৩ তে মোহন লাল অভিনীত মালায়ালাম দৃশ্যম ছবির রিমেক এটি। যাতে পরিচালক ছিলেন জিতু জোসেফ। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে অজয় দেবগন অভিনীত দৃশ্যম টু। এর আগেও অবশ্য দৃশ্যম একটি সুপার ডুপার হিট ছবি হয়েছিল। ২০১৫ সালেও তার সাফল্য আকাশচুম্বি হয়েছিল। আবারও বিজয় সালগাঁওকারের চরিত্রে ফিরে এলেন সেই অজয় দেবগনই। যাকে দেখতে সিনেমা হলে ভিড় জমিয়েছেন দর্শকরা।
আগামী দিনে এই সিনেমাটি একটি মাইলস্টোন ক্রিয়েট করবে বলে মনে করা হচ্ছে। দৃশ্যম ভারতীয় চলচ্চিত্রের চতুর্থতম সিনেমা যা সাতটি ভাষায় পুনর্নির্মিত হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে দ্বিতীয় ভারতীয় ছবি হিসেবে ও খ্যাতি কারণ বিদেশী তিনটি ভাষাতেও তৈরি হয়েছে এই ছবি। এর আগে ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া বলিউড সিনেমা অমিতাভ বচ্চন অভিনীত
এবং যশ চোপড়া পরিচালিত দিওয়ার প্রথম বলিউড সিনেমা যা তিনটি বিদেশী ভাষায় তৈরি হয়েছিল। ২০২২ এ দৃশ্যম টু তে আবারো তাঁর পুনরাবৃত্তি ঘটল। তবে চীনেতেও প্রথম ভারতীয় ছবি হিসেবে দৃশ্যমকে রিমেক করা হয়েছিল। সেই ছবির নাম দেয়া হয়েছিল উ শা। এমনকি একের পর এক ভাষায় যেমন তামিল তেলেগু কন্নড় সিংহলি ভাষাতেও দৃশ্যমের রিমেক তৈরি হয়েছে।
সারা ভারত জুড়ে তো বটেই, বাংলাতেও রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ‘দৃশ্যম ২’। রাজ্য জুড়ে ১৬২টি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হচ্ছে ‘দৃশ্যম ২’। বাংলাতেই এখনও পর্যন্ত এই ছবির ভাঁড়ারে এসেছে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। সপ্তাহান্তে সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়াতে পারে সাড়ে ছ’কোটিতে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২২-এ মুক্তি পাওয়া হিন্দি ছবিগুলির মধ্যে বাংলায় ভাল ব্যবসা করেছে মাত্র তিনটি। সেই তালিকায় শীর্ষে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে ‘কাশ্মীর ফাইলস’ এবং ভুলাইয়া ২’। তবে সব হিসেবকে ছাপিয়ে যেতে পারে ‘দৃশ্যম ২’।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post