নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- দুয়ারে ছাতু ব্যাপারটা চমকে যাওয়ার মতো হলেও বাস্তবে সেটা সত্যি। একেবারে ঘরে বসে মিলছে ভাজা ছোলার টাটকা ছাতু। কাজের খোঁজে মাত্র কয়েকটাদিন আগে সুদূর বিহার থেকে পূর্ব বর্ধমানে আসেন কৃষ্ণা সিনহা নামে এক যুবক । তবে এই কয়েকদিনেই তাঁর দুয়ারে ছাতু প্রকল্পের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তে। এই কয়েকদিন তিনি মোটরসাইকেলে করে চষে বেড়াচ্ছেন ‘দুয়ারে ছাতু’ নিয়ে। বস্তুত, বর্ধমানে এখন কৃষ্ণার কাজের পদ্ধতি নিয়েই রীতিমত চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
বর্তমানে বর্ধমানের বাঁকুড়ামোড় এলাকায় বাস তার। বিহারের ফর্মূলা প্রয়োগ করে রীতিমত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। কাছে রয়েছে একটি ছোট দুচাকার মোটরবাইক। তার পিছনের সীটে রয়েছে একটি ডিজেলের ছোট আটা চাকি মেশিন। গাড়ির সঙ্গে রয়েছে বস্তায় ভাজা ছোলা । আর তা নিয়েই তিনি ছুটে চলেছেন শহরের পাশাপশি,পাড়ায় পাড়ায়। যে চাইছেন, যতটা চাইছেন তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে প্রয়োজন মত ছোলা ভেঙে সঙ্গে সঙ্গে ছাতু তৈরী করে দিচ্ছেন। রয়েছে ছোট একটি ওজন মাপার যন্ত্রও। ছাতু বিক্রেতা জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রায় এক (বস্তা) ছোলা ভেঙে ছাতু তৈরী করে তা বিক্রি করছেন তিনি। বিক্রিত ছাতুর দাম কেজি প্রতি ১২০ টাকা।
দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তিনি চোখের সামনেই মিনিট খানেকের মধ্যেই তৈরী করে দিচ্ছেন খাঁটি ছাতু। যেহেতু ভেজাল নেই, তাই এর চাহিদাও রয়েছে আকাশ ছোঁয়া। গ্রাহককে তাঁর মোবাইল ফোনের নাম্বারও দিচ্ছেন। যাতে কারও প্রয়োজন হলে ফোনে তাঁকে ডাকলেই সে হাজির হতে পারে দুয়ারে ছাতু নিয়ে। গড়ে প্রতিদিন এখন তাঁর আয় হচ্ছে প্রায় ৪০০-৫০০ টাকা অর্থাত্ মাসে ১২০০০-১৫ হাজার টাকা এমনটাই জানিয়েছেন ঐ যুবক।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post