নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :- নিখোঁজ তরুণীর পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মোহনপুর থানার শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যারাকপুর কলেজ পল্লী এলাকায়। মৃতার নাম সাথী ঘোষ (২৬)। বেশ কয়েকদিন ধরেই সাথীর কোনও খোঁজ মিলছিল না। শুক্রবার পরিবারের তরফে মোহনপুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার বেলার দিকে ঘোষ বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ অনুভব করেন বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মোহনপুর থানার পুলিশ এসে ঘোষ বাড়ির দ্বিতলের ঘর থেকে ওই তরুণীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছে। যদিও একতলার ঘরে ছিলেন ঘোষ পরিবারের আরও তিন সদস্য।
তারা কিছুই বুঝতে পারেনি। মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, শিউলি পঞ্চায়েতের তেলেনি পাড়ায় থাকা প্রচুর সম্পত্তি স্থানীয় প্রমোটার বিধান রায়ের মাধ্যমে বিক্রি করেছিল ঘোষ পরিবার। সেই সম্পত্তি বিক্রির মোটা অংকের গচ্ছিত ছিল সাথীর কাছে। ওই টাকা হাতিয়ে নিতেই স্থানীয় প্রমোটার বিধান রায় পরিকল্পনা মাফিক সাথীকে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে, সম্পত্তি বিক্রির টাকা হাতিয়ে নিতে প্রথমে সাথীর মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করেছিল প্রমোটার বিধান। পরবর্তীতে টাকার লোভে সাথীর সঙ্গেও বিধান লিপ্ত হয়েছিল। অবৈধ প্রণ লিপ্ত হয়েছিল বিধান। যদিও দেহ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা প্রমোটার বিধান রায়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই যুবতীর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ঘটনা নিয়ে শিউলি পঞ্চায়েতের প্রধান অরুন ঘোষ বলেন, প্রমোটার বিধান রায় ওদের জমিজায়গা বিক্রি করেছে। কিন্তু বিধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে পুলিশ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post