অয়ন কুমার সাধুখাঁ: বাংলা বিনোদন জগতে তাঁর চোদ্দ বছর অতিবাহিত। বাংলার সেরা অভিনেত্রীদের অন্যতম প্রেরনা ভট্টাচার্য’র (Prarona Bhattacharjee) মুখোমুখি 24X7 নিউজ বেঙ্গল। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে উঠে এল তাঁর অভিনয়ের গোড়ার কথা থেকে সাম্প্রতিক টেলিভিশন ট্রেন্ড এবং ভবিষ্যৎ ভাবনা… সবকিছুই।
- বাঙালির উৎসব পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ নববর্ষ সেই নতুন বছরে প্ল্যান কী?
নতুন বছরে প্ল্যান সেরকম সত্যিই নেই। যদি শুটিং থাকে তাহলে হয়তো শুটিংয়েই যাবো এবং কাজ করবো, কারণ শিল্পীর পরিচিতিই তার কাজে। আর যদি সেইদিন কাজের ছুটি থাকে তাহলে সকাল থেকে বাড়িতেই থাকবো আর একটা নিমন্ত্রণ আছে নববর্ষতে হয়তো সেখানে যাবো।
- ওইদিনে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া বা আড্ডা খাওয়াদাওয়া?
সেরকম ঠিক জানিনা, কিন্তু নববর্ষের দিন আমার বাড়িতেই থাকারই ইচ্ছা আছে। যেহেতু রোজই কাজের মধ্যে থাকি তাই একটা দিন ছুটি পেলে আমি সেটাও আবার বাড়ির বাইরে কাটাতে আমি খুব একটা পছন্দ করি না। আর সাথে খাওয়া দাওয়া, আড্ডা থাকবেই।
- মানুষ হিসাবে প্রেরণা কেমন?
মানুষ হিসাবে আমি কেমন! সেটা তো লোকে বলবে। যারা আমার সাথে মেলামেশা করেছে, যারা আমার সাথে কাজ করে, আমার সাথে যারা পড়াশোনা করেছে, এবং যারা আমার বন্ধু তারা বলতে পারবে মানুষ হিসাবে আমি কেমন। actually তাদের আমাকে মানুষ হিসাবে কেমন লাগে। কারণ প্রত্যেকটা মানুষ নিজেকে ভালোই বলবে সেই অনুযায়ী আমিও নিজেকে ভালোই বলবো। শুধু এইটুকু বলতে পারি, প্রেরনা জটিল নয়, খুবই সাধারণ, কাজ করতে ভীষন ভালোবাসে। মনে এক আর মুখে আরেক বলতে পারিনা, স্পষ্ট বক্তা।
- ছোটবেলা কোথায় কেটেছে?
আমার ছোটবেলা কলকাতাতেই কেটেছে, আমার জন্ম, বড়ো হয়ে ওঠা সবটাই কলকাতায়। এককথায় বলতে গেলে আমি কলকাতার ই মেয়ে। দমদমে বড়ো হয়ে ওঠা পরবর্তীকালে কাজের সূত্রে সাউথ কলকাতায় চলে আসতে হয়।
- আপনার হবি কী?
নাচ আমার খুব প্রিয়, মন খারাপ হলে নিজের মনেই গুনগুন করে গান গাই, তার সাথে একটু নাচ ও করি। সাথেসাথে আমি ঘর সাজাতে ভিষন ভালোবাসি, ভালো লাগে রেডিওতে ছোটো ছোটো গল্প শুনতে। ইনফেক্ট রেডিওতে গান আমার ভীষণ প্রিয়।
- এত কাজের চাপে নিজের পরিবার কে কি করে সময় দাও?
আমি বাবা,মা র সাথেই থাকতে বেশি ভালোবাসি। কাজের চাপে সময় কম দিতে পারলেও, ছুটির দিনে মা, বাবা কে নিয়ে ঘুরতে বার হওয়া, বাইরে খাওয়া দাওয়া, একসাথে সিনেমা দেখা, আর সাথে মা, বাবার আদর, ভালোবাসা ফ্রি।
- কি খেতে বেশী ভালো লাগে?
প্রথমেই বলে রাখি আমি একটু পেটুক, খেতে খুব ভালোবাসি। আমি বাঙাল ,তাই থোর, মোচা, পোস্তোর বড়া, এই ধরনের গ্রাম বাংলার খারার আমার প্রিয়।
- বাঙালির নববর্ষ মানেই ভুড়িভোজ ,ওই দিন কি ডায়েটে থাকবেন?
শুধুমাত্র একটা দিন নয়, বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক। নববর্ষ একটা উপলক্ষ মাত্র, আর ওইদিন নো ডায়েট – শুধু খাওয়া দাওয়া।
- রিয়েল লাইফ প্রেরনা আর রিল লাইফ প্রেরনা (Prarona Bhattacharjee)কতটা আলাদা?
পুরোপুরি আলাদা, রিল লাইফে চরিত্র নিয়ে পাঠ করতে হয়, কখনো নেগেটিভ, কখনো পজেটিভ,আবার কমেডিয়ানও। কিন্তু একটা ক্ষেত্রে মিল আছে সেটা হলো সততা। সততা না থাকলে রিল বা রিয়েল কিছুতেই সাকসেস পাওয়া যায়না।
- নেগেটিভ কিংবা পজেটিভ দুই চরিত্রেই মানুষ দেখছে তোমাকে, কোনটা বেশি এক্সেপ্টেবেল? সেই দিক থেকে তোমার ফ্যান দের কাছ থেকে কি ম্যাসেজ পাও?
দুটোই এক্সেপ্টেবেল। যখন পজেটিভ চরিত্র করেছি, আমি ভালোবাসা পেয়েছি, সবাই নিজের ঘরের আপন ভেবে নিয়েছে, আদর পেয়েছি। আবার যখন নেগেটিভ চরিত্র করেছি তখন আবার বলেছে তুমি এত খারাপ কেন? তোমাকে দেখে রাগ হচ্ছে, একদম ভালো লাগছে না এইরকম ম্যাসেজও পেয়েছি। আমি দুইরকম বার্তা পেয়েই খুশী।
- ক্যারিয়ারের শুরু কীভাবে?
ক্যারিয়ার শুরু বলতে, অনেকেই হয়তো ইন্টারভিউ করলে শোনা যায় যে, ছোটবেলা থেকেই অভিনয় করার খুব ইচ্ছা, অভিনেতা বা অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা। কিন্তু আমার গল্পটা একেবারে অন্যরকম। আমি ছোটবেলা থেকে অভিনেত্রী হওয়ার কথা কখনো ভাবিনি। হ্যাঁ, ক্যালচারাল দিক থেকে ছোটবেলা থেকেই আমি খুব অ্যাক্টিভ ছিলাম। ছোটবেলায় স্কুলের যেকোনো অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হত নাচ করার জন্য। তো সেই নাচ হোক বা নৃত্যনাট্য হোক বা কোনো ক্যালচারাল ইভেন্ট হোক সেখানে আমি পুরোপুরি অংশগ্রহন করতাম, কারণ আমি নাচ করতে প্রচণ্ড ভালোবাসি তাই সেই ভালোবেসেই এইসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম। এই নাচ ছাড়া আমি কোনোদিন ভাবিনি যে আমি অভিনয় করবো, কিংবা অভিনয় করার কোনো ইচ্ছাই আমার মধ্যে তখন ছিল না। বিষয়টা হচ্ছে আমার মা দীর্ঘ বছর এই অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত, মা অনেক বছর অভিনয় করেছেন।
আরো পড়ুন Exclusive Interview Shreelagna Bandyopadhyay: বড়োপর্দায় শ্রীলগ্না
বিশেষ করে আমার মায়ের ভীষন ইচ্ছা ছিল যে আমি এই অভিনয় জগতে আসি। অভিনেত্রী হই। কিন্তু আমার এই প্রফেশনে আসার কোনো ইচ্ছা ছিল না। ছোটবেলায় সব বাচ্চাদের একটা ইচ্ছা থাকে আবার বয়সের সাথে সাথে সেই ইচ্ছাটা শিফট হতে থাকে ঠিক সেরকম আমারও আমি প্রথমে ছোটবেলায় ভাবতাম আমি স্কুল টিচার হবো তারপর আর একটু বড়ো হতে মনে হলো, না আমি এয়ার হোস্টেস হবো। অভিনেত্রী হওয়ার কথা ভাবিনি আমি। কিন্তু ওই যে বললাম আমার মায়ের খুব ইচ্ছা ছিল যে আমি অভিনেত্রী হই। কারণ মা ও দীর্ঘ বছর অভিনয় করেছেন। কিন্তু এখন শারীরিক অসুস্থতার কারনে কিছুদিন বিরতি নিয়েছে অভিনয় থেকে । ছোটবেলায় আমি যখন স্কুলে পড়ছি তখন আমার একটা অ্যাডে কাজ করার সুযোগ হয়। সেটা মায়ের থ্রু দিয়ে নয়। কারণ ওই অ্যাডের মধ্যে অনেকগুলো বাচ্চার মধ্যে একটা বাচ্চার প্রয়োজন ছিল। আর আমি আমার মা- বাবার সাথে কোথাও একটা গিয়েছিলাম সেখানে ওই অ্যাডের অরগ্যানাইজাররা আমাকে দেখে আমার মা- বাবা কে বলে যে, আমাদের একটা বাচ্চাদের নিয়ে অ্যাড শুট আছে তো আপনাদের মেয়েকে সেখানে আমরা নিতে চাই।
- আচ্ছা অর্থাৎ অ্যাড দিয়েই ক্যারিয়ারের শুরু?
না অ্যাড দিয়ে ঠিক ক্যারিয়ারের শুরু না। কারণ তখন আমি অনেক ছোট, তখন আমার বয়স পাঁচ কি সাত বছর। সেই যে কাজটা করেছিলাম সেটার ব্যাপারে আমার তেমন কিছু মনে নেই। তারপর দীর্ঘ বছরের একটা বিরতি । তারপর একটু বড়ো হওয়ার পর একটা সুযোগ আসে সেটা মায়ের থ্রু দিয়েই। সেটা ছিল একটা অ্যালবামের মিউজিক ভিডিও, সেটা ঠাকুরের একটা মিউজিক ভিডিও ছিল। আমি ছোটবেলা থেকে ভীষন ঠাকুর ভক্ত অর্থাৎ ভগবানে বিশ্বাসী সেই তখন ওই মিউজিক ভিডিওটা আমি করেছিলাম। তারপর অনেকটা সময় বিরতির পর ফাইনালি ই টি ভি বাংলায় একটা সিরিয়াল শুরু হচ্ছিল, তখন একজন নতুন মুখ নায়িকা চরিত্রের জন্য খোঁজ চলছিল তো আমার মা তখন আমার কথা বলেন এবং চাইলে ওর একটা অডিশন নিতে পারেন। এবং সেখানেই আমি অডিশন দিই এবং সিলেক্ট হই। ই টি ভি বাংলার সিরিয়াল যীশু দাশগুপ্ত ডিরেক্টর ছিলেন সিরিয়ালের নাম ” ভোরের খুব কাছে” যেখানে আমি নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। এখানে একপ্রকার অডিশনটা আমার মা জোর করেই পাঠায়, এবং বলেন, ‘ তুই অডিশনটা দে তারপর সিলেক্ট হবি কি হবি না পরের কথা।’ তারপর অডিশন দিই এবং সিলেক্ট হই। এখান থেকেই আমার মেগা সিরিয়ালে আসা এবং এখান থেকেই আমার কেরিয়ারের শুরু।
- প্রথম ক্যামেরার সামনে আসার অভিজ্ঞতা কেমন?
প্রচণ্ড ভয়ের ব্যাপার ছিল। কারণ আমি যেহেতু অভিনয় কোনোদিনও করিনি আর আমার অভিনয় নিয়ে কোনো হাতেখড়ি বা কোনো ট্রেনিং কিছু সেই অর্থে নেওয়া ছিল না। তাই আমার কাছে সেই অভিজ্ঞতাটা খুবই ভয়ের ছিল কারণ আমার সামনে এতোগুলো ক্যামেরা এতো সিনিয়র অভিনেতা অভিনেত্রীরা ছিলেন আর আমি তখন একদমই নতুন, একটা বাচ্চা মেয়ে অবশ্যই খুব ভয় লেগেছিল। ফ্লোরে বকাও খেয়েছি কাজও শিখেছি। প্রথম প্রথম খুব ভয় লাগতো এমনকি বাড়িতে থেকে শুটে যাওয়ার সময় রোজ কান্নাকাটি করতাম যে শুটিংয়ে যাবো না আজকে। তারপর আসতে আসতে কাজ শিখতে শিখতে সিনিয়রদের কাজ দেখে তাদের থেকে শেখা ডিরেক্টর যেভাবে শিখিয়েছেন সেখান থেকে কাজ শেখা। এবং আমার এতদিনের কাজ করতে করতে এভাবেই কাজ শেখা। আর একটা কথা আমার ছটা ইন্দ্রিয় খুব কাজ করে অর্থাৎ আমি খুব ক্যাচি তাই আমি একটু তাড়াতাড়ি কাজটা শিখে নিয়েছিলাম সেটা প্রায় পাঁচ- সাত মাসের মধ্যে। কাজটা বুঝে নিয়েছিলাম যে কীভাবে আমাকে কাজটা করতে হবে বা আমার কোথায় ভুল আছে সেই ভুলগুলো আমি কীভাবে ঠিক করবো। লাইট কীভাবে নিতে হয়, ডায়লগ মুখস্থ করা শেখা সবই প্রায় তাড়াতাড়ি শিখে নিয়েছিলাম। আসলে আমার মধ্যে একটা ধারণা সবসময় কাজ করে যে, ” সবাই যখন কাজটা পারবে আমি কেন পারবো না”! এখান থেকেই সেই প্রথম দিন থেকে আজ আমার এই অভিনয় জগতে চোদ্দ বছর কেটে গেল এবং পনেরোটা সিরিয়াল অলরেডি আমি করে ফেলেছি। এইটুকু বলবো শেখার কোনো শেষ নেই প্রত্যেক দিনই নতুন নতুন কিছু শিখছি আরো শিখবো কারণ আর্ট যত ফাইন হবে তত সুন্দর হবে। এখনো আমার অনেক শেখার বাকি আছে অনেক কাজ করার বাকি আছে।
আরো পড়ুন Exclusive Interview: স্টার জলসার ‘খুকুমনি হোমডেলিভারি’র Nayanika Sarkar
- চোদ্দ বছর ইন্ডাষ্ট্রিতে আছো তো এমন কোনো চরিত্র কি আছে সেটা করার খুব ইচ্ছা কিন্তু এখনো হয়ে ওঠেনি?
না সেই অর্থে নেই।আমি নেগেটিভ চরিত্রেও কাজ করেছি আবার পজিটিভ চরিত্রেও কাজ করেছি এছাড়াও আরো অন্যান্য চরিত্রেও কাজ করেছি। অনেকগুলো চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ আমি পেয়েছি। আমি আবার কম বয়সে অনেক বড় ছেলের মায়েরও চরিত্র করেছি আবার আমার বয়সী মা মাসির চরিত্রেও অভিনয় করেছি। আমি প্রচুর চরিত্রে অভিনয় করে ফেলেছি সেই অর্থে আমি খুব ভাগ্যবান যে এত রকম চরিত্র আমি করতে পেরেছি আমার প্রতিভা দেখাতে পেরেছি। কিন্তু একটা চরিত্র আমার খুব করার ইচ্ছা সেটা হল পাগলের চরিত্র সেটা এখনো আমার করা হয়ে ওঠেনি, আর বরফির প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার চরিত্র টা করার খুব ইচ্ছা। যদি কখনো এই চরিত্রে অভিনয় পাই তাহলে আমি চেষ্টা করব কারণ ওই চরিত্রটা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।
- অভিনয় জীবনের দুঃখজনক কোন ঘটনা?
দুঃখজনক ঘটনা বলতে করোনা ভাইরাসের সময় যখন সব বন্ধ হয়ে যায় ঠিক সেরকমই আমাদের ইন্ডাস্ট্রিও বন্ধ হয়ে যায়। তারপর আস্তে আস্তে অন্যসব কাজ শুরু হলেও আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কাজ শুরু হয় সবশেষে। একটা দীর্ঘ সময় বিনা কাজে ঘরে বসে থাকার সময়টার মত কষ্টের বা দুঃখজনক ঘটনা আর কিছু থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না। আশা করবো এরকম ঘটনা যেন আর জীবনে না ঘটে।
- ছোট পর্দা ছাড়াও বড় পর্দায় কি কাজ করেছো?
না বড় পর্দায় কাজ করার অফার এখনো পাইনি। কারণ আমার সেই ভাবে পি.আর কানেকশন নেই,, এবং সিনেমার পরিচালক বা প্রযোজকের সাথে আমার চেনা,জানা কম। যেহেতু আমি নিজের অ্যাড নিজে অতটা করতে পারি না তাই হয়তো আমি অতটা এক্মপোসড্ নই। তাই আমার মনে হয় যে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজে কাজ করার অফার পাইনি, সেই কাজ পেলে সেই চরিত্র যদি আমার মনের মত হয় আমি তাহলে নিশ্চয়ই বড় পর্দায় কাজ করব।
- তোমার জীবনের সুপারস্টার কে?
আমার জীবনের সুপারস্টার আমার মা ও বাবা।
- প্রেম করছো?
না প্রেম করছি না।
- পরবর্তীতে আবার কোন কাজে দেখতে পাবো তোমাকে?
পরবর্তী কোনো মেগা সিরিয়ালেই আমাকে দেখতে পাবে। যতদিন খুকুমণি হোম ডেলিভারি আছে সেটা করবো। এটার সাথে যদি অন্য কোনো সিরিয়ালের সুযোগ পাই সেটা করবো। এটা শেষ হবার পরে যদি অন্য কোন সিরিয়াল সেই কাজটা করবো।
- অনুগামীদের কী বলবে?
অনুগামীদের বলবো যে – যারা আমাকে টিভিতে দেখেন, যারা আমার সিরিয়াল দেখেন, তাদের মূল্যবান সময় বের করে তাদেরকে আমার ভালোবাসা জানাই। মা কাকিমা জ্যেঠিমারা যারা আমাকে এতো ভালোবাসা দেন তাদের সকলকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ বলতে চাই। আজ আমাদের দেখেন বলেই আমরা আছি। তাই তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তাদের কাছে আমি খুবই কৃতজ্ঞ।
Discussion about this post