শান্তনু কর্মকার : ভেবে দেখুন তো, যদি বাইশ গজে জুটি বাঁধতেন বিরাট কোহলি-ভিভিয়ান রিচার্ডস! অথবা যদি একই দলের হয়ে খেলতে নামতেন পেলে- লিও মেসি? কেমন হত সেক্ষেত্রে? দর্শকদের উন্মাদনার মাত্রা কল্পনা করতে পারা যাচ্ছে? না, বাস্তবে সময়ের নিয়ম বদলে দিয়ে মাঠে নামছেন না কোহলি-পেলে কিংবা মেসিরা…তবে প্রায় একই রকম একখানা কাণ্ড ঘটতে চলেছে বাংলা চলচিত্রের ইতিহাসে। এই প্রথমবার এক ফ্রেমে দেখা যাবে ফেলুদা-প্রফেসর শঙ্কুকে।
গাঁজাখুরি গল্প নয়, সত্যিই এমনটা ঘটতে চলেছে এবার। ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কুর পাশাপাশি একই গল্পে দেখা যাবে গুপী-বাঘাকেও। সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টিদের নিয়ে এমনই এক ‘ইউনিভার্স’ তৈরি করে ফেলেছেন পরিচালক প্রমিথ গাঙ্গুলি৷ তবে বড় পর্দা কিংবা কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নয়, ‘রে ইউনিভার্স’ মুক্তি পেতে চলেছে প্রমিথের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। ২রা মে অর্থাৎ সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনেই মুক্তি পাচ্ছে ওয়েবসিরিজের প্রথম পর্ব।
গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রমিথকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে, বহু মানুষ দেখেছেন সেটি, ভালোবাসাও পেয়েছি। তবে আমি বেশ ভয়ে ভয়ে আছি, উত্তেজনার পাশাপাশি ব্যর্থতার আশঙ্কাও আছে। স্বত্বাধিকার সংক্রান্ত জটিলতার জন্য বড়পর্দার দিকে এগোইনি ‘রে ইউনিভার্স’ নিয়ে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অফিসেও হাজির হইনি। আমার ইউটিউব চ্যানেলেই মুক্তি পেতে চলেছে এটি।’ ওয়েবসিরিজে সত্যিই কি একজোট হয়ে লড়াই করবেন ফেলু মিত্তির,প্রফেসর শঙ্কুরা? কিন্তু কার বিরুদ্ধে? প্রশ্নের উত্তরে অল্প হেসে প্রমিথ বলেন, ‘গল্পে ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু, গুপী গাইনরা রয়েছেন এটুকু বলতে পারি। তবে লড়াইটা কার বিরুদ্ধে, কীভাবে…. সেটা দর্শকদেরই জেনে নিতে হবে ২রা মে’।
বাজেট বেশি নয়, সিরিজটিতে তারকার ছড়াছড়িও নেই। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে অনেকেই থিয়েটারে চেনামুখ হলেও রুপোলী পর্দায় নতুনই বলা চলে। এমন অবস্থাতেই সত্যজিৎ রায়ের এই চরিত্রদের নিয়ে স্বপ্ন ফেরি করছেন প্রমিথ ও তাঁর বন্ধুরা। সেই স্বপ্ন মানুষের কাছে পৌঁছোবে কি না, তা অবশ্য সময়ই বলে দেবে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post