সুরশ্রী রায় চৌধুরী: বিজেপির বিধায়ক – নেতা শংকর ঘোষ বৃহস্পতিবার একটি টুইট করে রাজ্য সরকারের গরমে স্কুল ছুটির সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত সর্বদাই। উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় কম রয়েছে । স্কুল বন্ধের এই ঘোষণা শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গ কেন্দ্রিক।” শিলিগুড়ির ডিআই অফিসে গতকাল রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে একটি স্মারকলিপিও তুলে দিয়েছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন বিনামূল্যে স্বাস্থ্যশিবির কৃষ্ণনগর রেড ভলেন্টিয়ার্স – এর উদ্যোগে
সেই প্রেক্ষিতে শুক্রবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কোথায় মেঘ উঠেছে, কোথায় বৃষ্টি হচ্ছে, কোথায় গরম, কোথায় ঠান্ডা.. এ সমস্ত কিছু বলে বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। একসময় এই শংকর ঘোষ সিপিএমের নেতা ছিল। এখন বিজেপির বিধায়ক – নেতা হয়েছে। আগামী দিনে হয়ত অন্য কোনও দলে দেখা যাবে তাকে। তাই ওনার মত একজন পাগল কী বললেন তা নিয়ে কিছু যায় আসে না।” দক্ষিণের জেলাগুলিতে বর্তমানে এক তীব্র অস্বস্তিকর গরম রয়েছে। একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ছিটেফোটা বৃষ্টি হলেও তাতে গরম কমেনি। এদিকে দেখা নেই কালবৈশাখীরও। কলকাতা ও আশেপাশের শহরতলি এলাকায় প্রায় দুই মাস হয়ে গেল, বৃষ্টির দেখা নেই। গরমের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। মারাও গিয়েছেন বেশ কয়েকজন।
আরো পড়ুন বাবলু সিনে মিডিয়ার কর্ণধার জাইদ আলমের উদ্যোগে ইফতারে এলেন সুপারস্টার জিৎ
এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও স্কুল পড়ুয়াদের প্রতিদিন স্কুলে যেতে হচ্ছিল। অভিভাবক অভিভাবিকাদের একাংশ থেকে দাবি তোলা হচ্ছিল, গরমের ছুটি এগিয়ে দেওয়া হোক, কিংবা অনলাইনে ক্লাস করানো হোক। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকারও স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এমনই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী আছেন। সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভা আছে, শিক্ষা দফতর আছে… তাই কী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, কীভাবে সরকার চলবে তা ঠিক করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রী পরিষদ আছে।”
Discussion about this post