নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:– উদ্যোক্তরাও ভাবেন নি এবারের আম উৎসবে ৪২ প্রজাতির আম প্রদর্শিত করা যাবে। যার মধ্যে ২৮ প্রজাতির আম ছিল বিদেশী। বাকিগুলো স্থানীয় সুস্বাদু প্রজাতির আম। রবিবার পূর্বস্থলী রেলসংলগ্ন কমিউনিটি হলে আম উৎসবের সুচনা হয়। প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা সংস্কৃতির কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিষ নাগ। ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান আনন্দময়ী হালদার প্রমুখ। করোনার জন্য দু বছর বন্ধ ছিলো পূর্বস্থলীর আম উৎসব। উৎসবের বিভিন্ন বছরগুলোতে স্থানীয় হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোলাপখাস, ফজলি, মিঠুয়া, মিছরিভোগ, বোম্বাই, গোপালভোগ, মধুকুলকুলি, আম্রপলি প্রভৃতি আম প্রদশিত হতো। তবে এবার সেই রেকর্ড ভেঙেছে। পূর্বস্থলী্র বিভিন্ন নার্শারী মালিক ও নতুন নতুন আমচাষীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ২৮ প্রজাতির বিদেশী আম সংগ্রহ করা হয়। উৎসবের প্রদর্শনীতে সেই আম দেখে অনেকেই অভিভুত হয়ে পড়েন। এই ধরনের আম অনেক রাজ্যে তেমন দেখা যায় না।
বিগ সাইজের পুষা অরুনিমা, জিয়াংপা, ডাং চাকাপাত, পালমার, অ্যাপেল ম্যাংগ্, গ্রীন অ্যাপেল, মহাচানক, সুইট চিলি, নামভক মাই, নিলম, বেনানা, হাড়ি ভাঙা আম, কাটিমুন প্রভৃতি। এদিন উৎসব মঞ্চে পূর্বস্থলীর প্রবীন আমচাষী নারায়ন দাস কে বিশেষ সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। উৎসব দেখতে আসা সকল আমন্তিতদের জন্য ছিলো পোড়া আমের সরবত, ও পাকা আম কেটে খাওয়ানো। এদিন দিল্লি, ঝাড়খন্ড থেকেও বহু আম রসিকরা এসেছিলেন পূর্বস্থলীর আমউৎসব সামিল হতে। তবে, এবার উদ্যোক্তাদের তরফে উৎসবে প্রাঙ্গনে আম বিক্রির স্টল করা হয়নি বলে অনেকে হতাশা প্রকাশ করেন।
উৎসবে বিশেষ অতিথিদের জন্য ছিল আমদই, আম সন্দেশ প্রভৃতি। পূ্র্বস্থলীর সুস্বাদু আমকে সামনে রেখে ২০১৫ সালে আম উৎসবের সুচনা করেছিলো পূর্বস্থলী সাংস্কৃতিক মঞ্চ নামে একটি সংস্থা। কোন রকম সরকারী অনুদান নেওয়া হয়না। তাদের মুল উদ্যেশ্য ছিলো উৎসব দেখতে আসা সকল অতিথিদের পূর্বস্থলী সুস্বাদু আমের স্বাদ চেনানো। বিনামুল্য তাদের পাকা আম খাওয়ানো ব্যবস্থা করেন। সঙ্গে পোড়া আমের ঠান্ডা সরবত সহ আমের তৈরি বিভিন্ন উপকরণ। তাতে তারা অনেকটাই সফল হয়েছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post