দেবশ্রী মুখার্জী : ‘FPA india’ এমনই একটা সংস্থা যারা দীর্ঘ সময় ধরে সামাজিক ও আার্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের স্বার্থে ও বিভিন্ন দুর্যোগে সর্বস্ব হারানো মানুষের পাশে থেকেছে। এদের উদ্দেশ্য একটাই মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া।সংস্থার পক্ষ থেকে ২১ শে ডিসেম্বর কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার কলকাতার শাখার ম্যানেজার সুপ্রতিপ মজুমদার এবং সংস্থার সভাপতি ড: চিন্ময় ঘোষ সহ অন্যান্যরা । বৈঠকে জানানো হয়, সংস্থার মুখ্য উদ্দেশ্য বিশেষ করে দূর্যোগের সময় অসহায় মাতৃত্ব কালীন গর্ভবতী মহিলা , সদ্যজাত শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক দের উদ্ধারকার্য পরিচালনা করা।
ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংস্থার কাজ। এই সংস্থার সদস্যদের বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে থেকে কাজ করার পারদর্শিতা চোখে পড়ার মত। আয়লা থেকে আমফান যে কোনো দূর্যোগেই তারা মানুষের উদ্ধার কাজে সামিল হয়েছে। এই সংস্থার কলকাতা ব্রাঞ্চের প্রেসিডেন্ট ডঃ চিন্ময় ঘোষ জানান, সংস্থার কর্মীরা শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগে নয় ,তারা মাতৃত্বকালীন গর্ভাবস্থায় থাকা মহিলাদের এমনকি ক্লাস জেন্ডারদেরও প্রতিনিয়ত সেবা করে চলেছে। প্রসঙ্গতে উঠে আসে সুন্দরবনের কথা। সংস্থার কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয় যে , এরকম গ্রামাঞ্চলে আরো বিশেষ করে এই সংস্থার সদস্যরা কাজ করেছে এবং ভবিষ্যৎ এ করবে, কারন প্রাকৃতিক দূর্যোগে এই অঞ্চল গুলির অবস্থা ও গ্রামবাসীর পরিস্থিতি হয় খুবই ভয়াবহ ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে এইসব অঞ্চল কি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে তারও ব্যাখ্যা করা হয় এই অনুষ্ঠানে। সেই প্রান্তিক মানুষগুলোর জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের উন্নতি তে সহায়ক হয়ে কাজ করার কথা বলা হয়। সুপ্রতীপ মজুমদার বলেন, প্রত্যেক সংস্থা কিছু না কিছু কাজ করে চলেছে তবে এই ধরনের কাজ করে যাওয়া খুবই দুঃসাধ্য কিন্তু ক্ষুদ্র পরিসরে এই সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে ও আগামী দিনে আরো বৃহৎ পরিসরে কাজ করবে এই সংস্থা। সাংবাদিক বৈঠকে সংস্থা থেকে আরো জানানো হয় ,যৌনকর্মীদের স্বাস্থ্য রক্ষা ও অপ্রতাশিত গর্ভাবস্থা রোধ ,এছাড়া ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য তারা বিশেষ ভাবে কাজ করবে।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post