সুরশ্রী রায় চৌধুরী: মুখ্যমন্ত্রী বেনারসের গঙ্গা আরতির ধাঁচে কলকাতার (Kolkata) গঙ্গাতেও শুরু করতে চেয়েছিলেন সন্ধ্যা আরতি। সেইমতো কাজ শুরু করে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। অবশেষে কিছুদিন হল সেই সন্ধ্যা আরতি শুরু হয়েছে। কিন্তু জানা গিয়েছে, এই গঙ্গা আরতি দেখার জন্য তেমনভাবে ভিড় হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিকল্পনা বাস্তবে কতটা সফল হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে পুরসভার অন্দরে। স্থানীয় সূত্র বলছে, যদি লোকজন না হয় তাহলে এই ধারাবাহিকতা কতদিন বজায় থাকবে সেটাই প্রশ্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ মতো গত বৃহস্পতিবার থেকে গঙ্গা আরতি শুরু হয়েছে কলকাতার বাজে কদমতলা ঘাটে।
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ মত নতুনভাবে সাজিয়ে তোলে বাজে কদমতলা ঘাটকে। বসানো হয় গাছ, তৈরি করা হয় গঙ্গা মূর্তি। এছাড়াও নেওয়া হয় একাধিক উদ্যোগ। জানা গিয়েছে পুরসভা গাছ বসাতেই খরচ করেছে তিন লক্ষ টাকা। এছাড়াও স্থানীয় এলাকাকে আলোকিত করার জন্য বসানো হয়েছে বাতিস্তম্ভ। এইসব খরচা প্রাথমিকভাবে বহন করেছে কলকাতা পুরসভা। তবে জানা গেছে সন্ধ্যা আরতি চালিয়ে যাওয়ার জন্য যে খরচ সেটি পুরসভা বা সরকার কেউই বহন করবে না। এমনিতেই কলকাতা পুরসভার আর্থিক অবস্থা ভালো না। তার মধ্যে যদি এই সন্ধ্যা আরতির বিপুল খরচ বহন করতে হয় তাহলে পুরসভার পক্ষে অত্যন্ত চাপের হবে। বেহালার একটি মন্দির কমিটি বহন করবে এই আরতির খরচা। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। এই সন্ধ্যা আরতি দেখার জন্য তেমনভাবে ভিড় হচ্ছে না। অনেকের মতে, ছুটির দিনে বা সপ্তাহে দুদিন আরতির ব্যবস্থা করলে তবু লোকজন হত। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, রোজ দেখার মতো লোকজন সেভাবে হচ্ছে না। তাই কলকাতার বুকে এই সন্ধ্যা আরতি এখন বিতর্কের মুখে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post