কল্যাণ দত্ত, পূর্ব বর্ধমান: ঐতিহাসিক সুন্নত অনুষ্ঠান নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটির। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য অবশ্যকরণীয় কাজ হল ‘সুন্নত’ যাকে সাধারণ ভাষায় বলা হয় ‘মুসলমানি’। কিন্তু এই মুসলমানি যে একদম আধুনিক ভাবে সুসজ্জিত অপারেশন থিয়েটারে করানো যায় সে বিষয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল জামালপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জামালুর নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটি। আর আগে অবশ্য তাঁরা নানা ধরণের সামাজিক কাজ করে এসেছেন তাঁরা, রবিবার এগিয়ে এলেন গণ সুন্নতের কাজে।
আরো পড়ুন Maa Flyover Accident: ফের দুর্ঘটনা মা উড়ালপুলে
এলাকার কালারাঘাটের লাইফ কেয়ার নার্সিং হম ৪৪ জন বাচ্চার সুন্নত বা মুসলমানি করেন। জনকল্যাণ কমিটির পক্ষে পুরো অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন সংস্থার সভাপতি মেহেমুদ খান ও কোষাধ্যক্ষ ভুতনাথ মালিক। রবিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি,এস ডি পি ও আমিনুল ইসলাম খান , জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার, জামালপুরে থানার অফিসার ইন চার্জ মিঠুন কুমার ঘোষ, ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: ঋত্বিক ঘোষ, রাজ্য যুব সহসভাপতি। মেহেমুদ খান জানান সম্পর্কে তাঁর এক নাতির মুসলমানি করানোর কথা হতেই এটা তাঁর মাথায় আসে এবং সেই অনুযায়ী তিনি এটি করার কথা চিন্তা করেন ও অন্যান্য সকলের সাথে আলোচনা করেন। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন গ্রামীন চিকিৎসকদের সংগঠন।
তাঁরা এই ক্যাম্পের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ওষুধ বিনামূল্যে দেন। তার সাথেই চকদিঘী হাসপাতালের প্যাথলজিতে কর্মরত অনিমেষ সেনগুপ্ত বাচ্চাদের রক্তের বিভিন্ন টেস্ট বিনামূল্যে করে দেন। তিনি এই প্রস্তাব বিশিষ্ট ডাক্তারবাবুদের অর্থাৎ ডা: কামাল হাসান, ডা: আনারুল হককে বলেন তাঁরা সানন্দে রাজি হয়ে যান এবং তাঁকে উৎসাহ দেন। প্রশাসনের সকলে তাঁকে সাহায্য করেছেন বলে তিনি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান যাকে দিয়েছেন তিনি হলেন লাইফ কেয়ার নার্সিং হোমের মালিক মোহাম্মদ আজিজ।
আরো পড়ুন আসতে চলেছে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ছবি ‘মৃত্যুর রং ধূসর’
যিনি আজ তাঁর নার্সিংহোম বিনামূল্যে এই ক্যাম্পের জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছেন। বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি জানান এটা একদম নতুন একটা ব্যাপার। এই ধরণের একটি ক্যাম্প করার জন্য তিনি নাগরিক জন কল্যাণ সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানান। বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটি এর আগে নানা ধরণের সামাজিক কাজ করে এসেছেন আজ তাঁরা নতুনত্ব একটা জিনিস করলেন যে খুবই যুগোপযুগি।ডাক্তারবাবুরা সকলেই এই কাজের জন্য মেহেমুদ খানের প্রশংসাই করেন। প্রত্যেক বাচ্চাকে নতুন পোশাক ও টিফিনের প্যাকেট দেওয়া হয়।
Discussion about this post