নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- আর মাত্র সাত দিন পরেই বাঙালির প্রিয় নববর্ষ। চৈত্রের বকেয়া মিটিয়ে, বৈশাখকে বরণ করতে প্রস্তুত সকলেই। ইংরেজি নববর্ষের ক্যালেন্ডারের চাহিদা থাকে সরকারী নানান কাজকর্মের জন্য, কিন্তু অপরদিকে নানারকম আচার- অনুষ্ঠান, পুজো -পার্বণ কিংবা উৎসব এর জন্য আজও বাঙালিদের প্রয়োজন বাংলা নববর্ষের ক্যালেন্ডার। এরমধ্যেই নববর্ষকে ঘিরে ব্যবসায়ী মহলে ব্যস্ততা রয়েছে। পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন ক্যালেন্ডার আর মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা আদান প্রদান গ্রাহকদের সাথে। বিভিন্ন প্রেসে ক্যালেন্ডার ছাপার ব্যাস্ততা এখন চরমে। আর ঠিক এই সময়ই এবার পুরোপুরি হাতে আঁকা বাংলা নববর্ষের ক্যালেন্ডার তৈরির কাজ করছে পূর্ব বর্ধমান শহরের বিধানপল্লীর চিত্র কুটিরের শতাধিক ছাত্রছাত্রী।
দিনরাত এক করে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পরিবেশ সচেতনতার ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলছে বাংলা ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে। এর আগে হাতে লেখা পুজো বার্ষিকী এই জেলাতেই নজর কেড়েছে,ধরে রেখেছে তাদের ঐতিহ্য। আর এবার হাতে আঁকা ক্যালেন্ডার সত্যি মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। পূর্ব বর্ধমান জেলার,মেমারির পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার জানান,”এই ক্যালেন্ডার তৈরিতে ভেষজ রঙ ব্যবহার হচ্ছে,এখনও পর্যন্ত শতাধিক ক্যালেন্ডার তৈরী হয়েছে। অনলাইনে চাহিদা প্রচুর-হাতে আঁকা ক্যালেন্ডারের।পরের বার বাণিজ্যিকভাবে এটি তৈরীর ভাবনা রয়েছে আমাদের। যাতে শিল্পীরা কিছু আয় করতে পারে।এই ক্যালেন্ডারের বড়ো বিশেষত্ব হল প্রতিটি মাসের পাতায় থাকবে কোনো না কোনো শাকসবজির বীজ লুকোনো। মাস ফুরালে সেই ফেলে দেওয়া পাতা থেকেই জন্ম নেবে নতুন গাছ”। চিত্র কুটিরের শিক্ষিকা সুতপা রায় জানান, “এই ধরনের ক্যালেন্ডার তৈরির ভাবনা পুরো নিজস্ব ও প্রথম।
এই ক্যালেন্ডার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহ যাবতীয় সহায়তা করছে পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতি আর বর্ধমান নেহেরু যুব কেন্দ্র”। সন্দীপন সরকার এও জানান পয়লা বৈশাখের আগেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল,রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলাশাসককে তাঁরা এই ক্যালেন্ডার উপহার হিসাবে তুলে দিতে চলেছেন,কোথাও সশরীরে কোথাও ডাক যোগে।নানা ক্ষেত্রে তাঁদের এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সুইচ অন ফাউন্ডেশন। তাঁরা বর্ধমানের বাইরে কলকাতায় ও রাজ্য স্তরে এই ক্যালেন্ডারকে জনপ্রিয় করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন। ভবিষ্যতে যাতে এই ভাবনা থেকেই শিল্পীদের কর্মসংস্থান এবং পরিবেশ সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া যায় তার জন্য আরও বৃহৎ আকারে উদ্যোগে নেওয়া হবে।গাছ মাস্টার অরুপ চৌধুরী এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন,” ক্যালেন্ডারে গাছের বীজ, সম্পূর্ণ নতুন ভাবনা, সবুজায়নে ও পরিবেশ রক্ষায় এটা কার্যকরী উদ্যোগ”।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post