আমজাদ আলী, মালদা: তীব্র দাবদাহে জলের জন্য হাহাকার। এলাকায় নেই কোন পিএইচই বা সাবমার্সিবল পাম্প। ৫০ টাকা দিয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ এলাকাবাসীর। এদিকে দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু ভোট চলে এলেও জল সমস্যার সমাধান হয়নি। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে হাজির হবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কিন্তু আর কোন প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করতে নারাজ এলাকাবাসী। জলের সমস্যা সমাধান না হলে ভোট বয়কটের হুশিয়ারি। গ্রামীণ সড়ক অবরোধ করে কলসি বালতি রেখে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পেমা ভক্তিপুর এলাকা। শতাধিক পরিবারের বাস এলাকায়। বেশিরভাগ মানুষই কৃষিজীবী। দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। ফলে বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে সাব মার্সিবল পাম্প বা নলকূপের ব্যবস্থা করতে পারেনি।
এলাকায় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বসানো হয়নি কোন সাব মার্সিবল পাম্প। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে বারবার বলা হলেও কর্ণপাত করেননি তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই তাই বিক্ষোভের পথ বেছে নিল এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ এলাকার একটি বিদ্যালয় থেকে জল আনতে গেলে সেখানেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে দেখা দিয়েছে ব্যাপক জল সংকট। এমতাবস্থায় সমস্যার সমাধান না হলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সাধারণ মানুষ। রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল পরিচালিত। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও শাসকদলের। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ কাজ করার ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক স্বার্থ দেখে কাজ করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। যদিও জলকষ্টের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। এলাকা বাসীর কাছে বিজেপি নেতৃত্বের আবেদন ভোট বয়কট না করে ভোটের মাধ্যমে জবাব দিক সঠিকভাবে। অন্যদিকে কংগ্রেস এবং সিপিআইএমও কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূলকে। ভ্রাম্যমান ট্যাঙ্ক করে জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এলাকায় সাফাই তৃণমূলের। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post