নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :- বরানগর থানার বনহুগলির অর্থোপেডিক কলেজ এন্ড হাসপাতালের হস্টেলে মেডিকেল পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে মঙ্গলবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। বিহারের গয়ার বাসিন্দা মৃত পড়ুয়া প্রিয় রঞ্জন সিং (২১)। মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন প্রিয় রঞ্জন। পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে চিকিৎসা পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সোমবার রাতে হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে সহপাঠিরা কামারহাটি সাগরদত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার অধিকৃত এই অর্থোপেডিক হাসপাতালে নূন্যতম পরিষেবা মেলে না। এম্বুলেন্স না থাকায় বাইকে চাপিয়ে কামারহাটি সাগরদত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথেই প্রিয় রঞ্জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবি তুলে মঙ্গলবার হাসপাতালের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পড়ুয়ারা।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধারে গেলে বরানগর থানার পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। যদিও মৃতের দাদা প্রবীণ রঞ্জন বরানগর থানায় ওই কলেজের নয়জন সিনিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রবীণ রঞ্জনের অভিযোগ, হস্টেলে প্রতিনিয়ত ভাইকে রাগিংয়ের শিকার হতে হতো। জুন মাসে এন্টি-রাগিং সেলে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রবীনের দাবি, সিনিয়ারদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ভাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অর্থোপেডিকের অধিকর্তা পি পি মহান্তি বলেন, কি কারনে এই ঘটনা, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের দাবিও মেনে নেওয়া হয়েছে। তবুও ওরা আন্দোলন থেকে পিছু হটতে নারাজ। অধিকর্তা জানান, রাগিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গত জুলাই মাসে পাঁচজন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে মৃতের ঘর থেকে পুলিশ একটি সুইসাউড নোট উদ্ধার করেছে। যদিও সেটা প্রিয় রঞ্জনের লেখা কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post