নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান: স্বাধীনতা সংগ্রামী বটুকেশ্বর দত্তের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলা। পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ থানার ওঁয়াড়ি গ্রামে। পিতা গোষ্টবিহারী দত্ত। ছোটবেলায় গ্রামে তিনি ‘মোহন’ নামে পরিচিত ছিলেন। জন্মের পর কিছুদিন ওঁয়াড়ি গ্রামে থাকার পর পিতা কর্মসূত্রে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে গেলে বটুকেশ্বর তার সঙ্গে যান। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে সেখানে থেকেই ম্যাট্রিক পাশ করেন। সেখানেই তিনি বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদ ও ভগৎ সিং এর সংস্পর্শে আসেন এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হন। বিপ্লবী দলে যোগ দিয়ে দল সংগঠনে প্রথমে আগ্রায়, পাঞ্জাব ও অন্যান্য স্থানে যান। তাদের সংগঠনের নাম ছিল হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন। কানপুরে কলেজে পড়ার সময় বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদ ও ভগৎ সিং এর সংস্পর্শে আসেন এবং বিপ্লবী রাজনীতিতে যোগ দেন। বিপ্লবী সদস্যদের নিকট বি.কে নামে পরিচিত ছিলেন বটুকেশ্বর দত্ত।
সোমবার স্বাধীনতা সংগ্রামী বটুকেশ্বর দত্তর জন্ম ভিটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে পালন করা হলো ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস। উপস্থিত ছিলেন, সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু কুমার মন্ডল, খণ্ডঘোষ বিধানসভার বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ, খণ্ডঘোষ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সত্যজিৎ কুমার, খণ্ডঘোষ থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত বেড়া,পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শেখ মঈনুদ্দিন, খণ্ডঘোষ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হারু সাঁতরা, বিশিষ্ট সমাজসেবী মোল্লা সফিকুল ইসলাম সহ বটুকেশ্বর দত্ত সংরক্ষণ কমিটির সদস্যরা। উপস্থিত শিশুদের নিয়ে স্বাধীনতা দিবস কেন্দ্রিক কিছুক্ষনের কুইজ-ও করা হয়।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post