সুরশ্রী রায় চৌধুরী: কর্নাটকের হুবলি জেলার এক পরীক্ষার্থীকে হিজাব ও বুর্খা পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ায় বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কর্নাটক হাইকোর্টের হিজাব রায় মানতে নারাজ বহু ছাত্রী। কর্নাটকে বোর্ডের পরীক্ষা (SSLC) শুরু হয়েছে। হাইকোর্টের রায় সত্ত্বেও এদিন স্কুলের ইউনিফর্ম না পরে বুর্খা এবং হিজাব পরে দশম শ্রেণির ছাত্রী বুর্খা ও হিজাব খুলতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্কুলের ইউনিফর্ম পরে আসার পর তবেই তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়। এই ঘটনাটি সোমবার শান্তি নিকেতন পিইউ কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রের।
আরো পড়ুন GST: ১ এপ্রিল বদলে যাচ্ছে GST-র নিয়ম
এদিন কর্নাটকের বোর্ডের এসএসএলসি পরীক্ষার প্রথম দিন ছিল। রাজ্য জুড়ে কয়েক দফা বিক্ষোভের পরে, সরকার পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করতে রাজ্য জুড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে এবং এর আশেপাশে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করেছিল। পরীক্ষায় বসার জন্য পরীক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম পরে আসা বাধ্যতামূলক করেছিল রাজ্য সরকার। এই নির্দেশ দিয়েছিল কর্নাটকের প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি এডুকেশন মন্ত্রী বিসি নাগেশ। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশে আগেই বলা হয়েছিল, পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সকলে ইউনিফর্ম পরে না আসলে তাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।
আরো পড়ুন কুকর্মের শাস্তি! তিন বছর জেলেই কাটাতে হবে বিধায়ককে?
হিজাব বিতর্ক নিয়েই উত্তাল হয়েছে কর্নাটক। এরপর গোটা ঘটনার আঁচ পড়েছে সমগ্র দেশেই। এই বিতর্কের জল গড়িয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট অবধি। হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইউনিফর্ম পরতে হবে। এবং ইসলাম ধর্মাচরণের জন্য হিজাব পরা বাধ্যতামূলক নয়। এরপর হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারী ছাত্রী। কিন্তু এদিন হাইকোর্টের রায়কে অমান্য করেই।
Discussion about this post