নিজস্ব প্রতিবেদন: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর। জানা গিয়েছে, টিকা দেওয়ার জন্য একটি ১৩ জনের টিম ছিল ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের। তাঁদের দিয়েই বিভিন্ন ক্য়াম্পে টিকাকরণের কাজ চালাত ধৃত। ওই টিমের সদস্যরা কি ডাক্তার-নার্স? তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, ওই ১৩ জনের টিমের ১১ জনকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করেছে পুলিস। তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। ওই ব্যক্তিরা ডাক্তার বা নার্স কি না, সেই তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁদেরকেও IAS পরিচয় দিয়েই কাজ করাতো কি না ধৃত দেবাঞ্জন দেব? খতিয়ে দেখছে পুলিস। এই বিষয়ে কলকাতার পুলিস কমিশনার সৌমেন মিত্র বলেন, ‘ডাক্তার-নার্সরা ভুয়ো কিনা, সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’ সূত্রের খবর, কসবার ভ্যাকসিন ক্যাম্পে যারা টিকা দিতেন, তাদের কারও গায়ে কোনও ইউনিফর্ম ছিল না। ফলে সাধারণ মানুষের আশঙ্কা তাঁরা কেউ ডাক্তার বা নার্স নয়।
আরও পড়ুন: কীভাবে KMC-র অন্দরে প্রভাব বাড়াল ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন? সরষের মধ্যে ভূতের খোঁজে পুলিস
আরও পড়ুন: WHO-র কাছ থেকে COVAXIN-কে অনুমোদন পাইয়ে দিন, PM Modi-কে পত্র Mamata-র
বৃহস্পতিবার রাতে টানা ৫ ঘণ্টা ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, কোভিড অতিমারিত শুরু হতেই মাস্ক, পিপিই কিট, স্যানিটাইজারের কারবার শুরু করেন তিনি। মেহতা বিল্ডিং থেকে সস্তার ওই সমস্ত সামগ্রী কিনে আনতেন। অসৎ উপায়ে চলা কারবার যাতে ধরা না পড়ে যায়, সেজন্য কলকাতা কর্পোরেশনের প্রভাবশালীদের কাছাকাছি আসার সুযোগ খুঁজতে থাকে। প্রথমে এক চিকিৎসক নেতার সঙ্গে আলাপ জমান তিনি। করোনার একদম শুরুর দিকে মাস্ক, পিপিই কিট, স্যানিটাইজারের অকালের সুযোগ নিয়ে, সমাজ সেবার নামে সেই সমস্ত সামগ্রী বিলি করেন। এ ভাবেই কলকাতা পুরসভায় অবাধ প্রবেশের রাস্তা সুগম করে দেবাঞ্জন দেব।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post