পাঞ্চজন্য রায়, করিমগঞ্জ (অসম) : করিমগঞ্জ জেলার কৃতী শিল্পীদের সংবর্ধনা জানাল খুশি স্মৃতি সংস্থা৷ এ উপলক্ষে রবিবার করিমগঞ্জ সরস্বতী বিদ্যানিকেতনের অরবিন্দ রায় স্মৃতি মঞ্চে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ এতে মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জ রবীন্দ্র সদন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ড. তনুশ্রী ঘোষ৷
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মানুষ জন্মের সময়ই কোন না কোন প্রতিভা নিয়েই জন্মগ্রহণ করে৷ আর পরবর্তীতে অনেক ক্ষেত্রেই পিতা-মাতা বা অভিভাবকরা না বুঝে তাঁদের সেই লুপ্ত প্রতিভাকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দেন৷ যা কোন ভাবেই কাম্য নয়৷
তিনি বলেন, আজকের দিনে এই ভারত-বাংলা সীমান্ত জেলা করিমগঞ্জে যে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে তা হয়তো এ ধরনের অনুষ্ঠানে না আসলে অজানাই থাকত৷
এদিন সকালে রবীন্দ্র প্রতিকৃতির সম্মুখে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অধ্যাপিকা ড. তনুশ্রী ঘোষ৷ উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট যন্ত্রশিল্পী রঞ্জিত দেব ভানু, সঙ্গীত শিল্পী শ্যামা দাস, নৃত্য শিল্পী সোনালী গোস্বামী চক্রবর্তী ও প্রেস ক্লাবের সম্পাদক অরূপ রায়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় ও সরস্বতী মূর্তি দিয়ে বরণ করেন পার্থ দাস, দেবজ্যোতি দাস, রূপ আচার্য ও সুচিস্মিতা চক্রবর্তী৷
খুশি স্মৃতি সংস্থার পক্ষ থেকে অরূপ রায় তাঁর বক্তব্যে জানান, চলতি বছরের ২৮ মে রাজ্য সরকারের ভাষিক সংখ্যালঘু বোর্ড আয়োজিত জেলাভিত্তিক রবীন্দ্র সংগীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতায় করিমগঞ্জের যারা উল্লেখযোগ্য ফল করেছে এবং পরবর্তীতে গুয়াহাটিতে রাজ্য পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ভাল প্রদর্শন করেছেন, তাঁদের খুশি স্মৃতি সংস্থার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে৷
এদিকে গত ১ এপ্রিল পাথারকান্দির দোহালিয়া ১৬ নং বিএসএফ ক্যাম্পে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী শিল্পী শ্রাবণী পাল, সুস্মিতা চক্রবর্তী ও সৌম্যজিত মজুমদার এবং সপ্তসুর সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষে সুমিতা দাস, সরগম সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষে কাকলী দেব ভট্টাচার্য ও বিশ্ববীণার সুরজিত দেবের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়৷ পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রূপা আচার্য৷

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post