নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- শনিবার লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবস উপলক্ষে সমস্ত লোকনাথ বাবার মন্দিরেই বিশেষ পূজা পাঠ ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের, জামালপুরে দামোদর নদীর তীরে বেরু গ্রামে ছিল লোকনাথ বাবার পূর্ব জীবনের জন্মস্থান যা সকলে লোকনাথ বাবার বিভিন্ন বই থেকে জানতে পারে, আর সেখানেই ব্যানার্জি পরিবারে জন্ম হয়েছিল তাঁর। তাঁর নাম ছিল সীতানাথ। বেরুগ্রাম গ্রামের উত্তরপাড়ায় তাঁর জন্মস্থানের পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে লোকনাথ বাবার মন্দির। বাবার তিরোধান দিবসে শনিবার সেখানে সকাল থেকেই চলে বিশেষ পূজা পাঠ ।
বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার ভাবার ভক্ত সেখানে জমায়েত হন লোকনাথ বাবাকে পুজো দেবার উদ্দেশ্যে। সকাল থেকেই সেখানে ভক্তসমোগাম চোখে পড়ে । লাইন দিয়ে দর্শনার্থীরা লোকনাথ বাবার মন্দিরে প্রবেশ করছেন পূজা দিচ্ছেন এবং প্রণাম করে তারা আবার মন্দিরের বাইরে বেরিয়ে আসছেন। পুজোকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব গ্রামে । প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার জনসমাগম হয় এই দিনে। যাতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় তার জন্য লোকনাথ বাবার পূজা কমিটির পক্ষ থেকে থাকে যথেষ্ট ভলেন্টিয়ার। আবার জামালপুর থানার পক্ষ থেকেও ছিল পুলিশ বাহিনী। যাতে কোন অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটে সেই জন্য মন্দির চত্বরে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। পুজোকে কেন্দ্র করে লোকনাথ বাবার মন্দির এর সন্নিহিত অঞ্চলে বসেছে মেলা।
মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ছিল ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা । প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ সেখানে লোকনাথ বাবার প্রসাদ পান। মন্দিরে সঙ্গে যাঁরা ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছেন বা যাঁরা দাঁড়িয়ে থেকে অনুষ্ঠান চালনা করেন ট্রাস্টের সভাপতি সঞ্জয় হালদার, সুভাশিষ বসু, প্রভাত রায়, মদন মোহন ঘোষ সহ আরো অনেকে। তাঁরা সহ গ্রামবাসী ও লোকনাথ বাবার ভক্তদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আগামীদিনে হয়তো মহাতির্থে পরিণত হবে বেরুগ্রাম।
২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post