পাঞ্চজন্য রায়, করিমগঞ্জ (অসম) : বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা৷ আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা, তারপরই ছেলেমেয়ে নিয়ে মর্ত্যে আসবেন মা দুর্গা৷ মায়ের আগমন ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা৷ শহর থেকে জেলা সর্বত্রই পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে৷ সীমান্ত জেলা করিমগঞ্জে এবার বেশিরভাগ জায়গাতেই রয়েছে থিমের ছোঁয়া৷ কেউ মন্ডপে, কেউ প্রতিমায়, আবার কেউ মন্ডপ-প্রতিমার সঙ্গে আলোকসজ্জায় নতুনত্ব তুলে ধরার প্রয়াস নিয়ে কাজ করছেন দিবারাত৷
করিমগঞ্জ জেলার বিগ বাজেটের পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘মধ্য করিমগঞ্জ সর্বজনীন দুর্গাপূজা’৷ করিমগঞ্জ সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই পুজোকে ঘিরে মনোজ্ঞ বাউল সঙ্গীত সন্ধ্যা উপহার পান সাধারণ মানুষ৷ প্রতিবছর বিভিন্ন স্থানের খ্যাতনামা শিল্পীরা এসে অনুষ্ঠান করেন৷ মধ্য করিমগঞ্জের পূজো এবার ৪৮তম বর্ষে৷ পুজোর বাজেট ৮ লক্ষ টাকা৷ স্থানীয় শিল্পী চিকন পাল মন্ডপ সজ্জার কাজ করছেন৷ কাল্পনিক মন্দির তৈরী করা হবে মধ্য করিমগঞ্জে৷
অন্যদিকে, মায়ের মূর্তি তৈরী করছেন প্রতিমা শিল্পালয়ের মৃৎশিল্পীরা৷ মধ্য করিমগঞ্জের পুজোয় প্রতিবছর প্রতিমায় নতুনত্ব দেখা যায় এবং এবারও ব্যতিক্রম হবে না৷ মন্ডপসজ্জা ও প্রতিমার সঙ্গে থাকবে আলোকসজ্জা৷ এবার পুজোয় সভাপতি হিসাবে বিকাশ দেব, সম্পাদক হিসাবে সন্দীপ সেন ও শুভ্রপ্রকাশ দেব এবং কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন প্রবাল দেব৷ সপ্তমী থেকে নবমী মহাপ্রসাদ বিতরণের পাশাপাশি সন্ধ্যায় বাউল গানের আসর প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেখা যাবে মধ্য করিমগঞ্জের পুজো মন্ডপে৷
সুদুর পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা বাউল শিল্পী আলোক মিশ্র এবার অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন মধ্য করিমগঞ্জে৷ মূলত গ্রাম বাংলার লোক সংস্কৃতি এবং মাটির শেকড়ের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষম বাউল গানে মুখরিত হবে আকাশ-বাতাস, জানান সম্পাদক সন্দীপ সেন৷ সম্পূর্ণ স্বাত্তিকতা মেনে আয়োজিত পূজোয় এলাকার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা আনন্দে মেতে উঠেন বলে জানান সম্পাদক৷

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post