পাঞ্চজন্য রায়, লক্ষীপর (অসম) : আসাম সরকারের সমগ্র শিক্ষা অভিযানের বিশেষ এক কর্মসূচি হলো সম্প্রদায় উৎসব বা কম্যুনিটি ফ্যাস্টিভ্যাল। এরই অঙ্গ হিসাবে লক্ষীপুর শিক্ষা ব্লকের অন্তর্গত বিন্নাকান্দি ক্লাস্টারে আজ ২৩শে ডিসেম্বর,২২ ইং শুক্রবার সম্পন্ন হলো সম্প্রদায় উৎসব। স্হান ছিল জগাই মথুরা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিন্নাকান্দি। এতে উক্ত ক্লাস্টারের জগাই মথুরা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক, উচ্চতর ও নিম্ন প্রাথমিক বিভাগ, জগাই মথুরা মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়, জীবন মেমোরিয়াল এম,ভি, স্কুল, ১৫৮৭ নং দিলখুশ টিলা বস্তী এল, পি, স্কুল, ১৫৭৯ নং বিন্নাকান্দি এল, পি, স্কুলের প্রায় পনেরোশো ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষক- শিক্ষিকা, অভিবাবকগনের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
সকাল ৯ টায় পতাকা নাড়িয়ে শোভাযাত্রার শুভারম্ভ করেন জগাই মথুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক দূর্গা কান্ত পান্ডে। শোভাযাত্রাটি জগাই মথুরা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিন্নাকান্দি ঘাট হয়ে বিদ্যালয়ে ফিরে আসে। স্কুল পর্যায়ে এত বিশাল শোভাযাত্রা এই প্রথম বলে অনেকেই মত ব্যক্ত করেন।
তারপর প্রাতরাশ সেরে সকাল ৯-৪৫ মিঃ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিন্নাকান্দি ১ম খন্ডের বিশিষ্ট সমাজসেবী আই, কান্ত সিংহ । প্রদর্শনীতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর তৈরি হস্তশিল্প, অঙ্কন শিল্প, অঙ্ক, বিজ্ঞান, সামাজিক দৃশ্যের প্রদর্শন দর্শকদের মন কাড়ে। জগাই মথুরা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অটল টিঙ্কারিং ল্যাবে ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি ড্রোন সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সামগ্রী ,রোবট, থ্রি-ডি প্রিন্টার প্রদর্শন ছিল অন্যতম আকর্ষণ। সকাল ১০টায় শুরু হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জগাই মথুরা মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক এম, মণি মোহন সিংহ। সমস্ত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন জগাই মথুরা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিল্পজিৎ পাল। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দূর্গা কান্ত পান্ডে, কান্ত সিংহ, জগাই মথুরা মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জনময় দাস, বিন্নাকান্দি ক্লাস্টারের সি,আর,সি,সি মুজিবুর রহমান চৌধুরী, লক্ষীপুর ব্লক এম,আই,এস সাজ্জাদুল হুসেন, রিসোর্স পার্সন সুলতান আহমেদ বড়ভূইয়া, বিভিন্ন ক্লাস্টারের সিআরসিসি মনোজ দাস, আব্দুল মতিন মাঝারভূইয়া, জিয়ায়ূর রহমান চৌধুরী , দেও নাথ নূনিয়া প্রমুখ। সবাইকে উত্তোরীয় দিয়ে বরণ করেন ক্লাস্টারের শিক্ষক-শিক্ষিকাগন। বিন্নাকান্দি ক্লাস্টারের সবকটি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এতে অংশ গ্রহণ করে। বাংলা, মণিপুরী, হিন্দি, অসমিয়া, ভোজপুরি, রংমাই ভাষায় সঙ্গীত সহ ঐতিহ্যগত বাংলা ধামাইল, মণিপুরী নৃত্য, বিহুনৃত্য, ডান্ডিয়া নৃত্য, রংমাই নৃত্য,শায়েরী, কবিতা আবৃত্তি, যাত্রাপালার সংলাপ, সবাইকে মনোরঞ্জন দেয়। জগাই মথুরা মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্তৃক উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
অত:পর স্বাগত ভাষণ করেন সিআরসিসি মুজিবুর রহমান। মধ্যাহ্নভোজের পর অনুষ্ঠানের শেষাংশে অংশগ্রহণকারী সকল ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে মেডেল ও প্রসংশা পত্র তুলে দেওয়া হয়। তাছাড়া প্রতিটি বিদ্যালয় ভিত্তিক রচনা ও অঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারীকে পুরস্কার ও প্রসংশা পত্র তুলে দেওয়া হয়। প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন রঞ্জনময় দাস। শিল্পজিৎ পাল উনার সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রদায় উৎসব পালনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিভা বিকাশের পথ প্রশস্ত সহ বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের একে অন্যের সাথে ভাব বিনিময় ও শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় বলে উল্লেখ করে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানান।
শেষাংশে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সেনাবী সিংহ ও সুমিতা রক্ষিত।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post