সুরশ্রী রায় চৌধুরী : উত্তরপ্রদেশ কে পাখির চোখ করে, ছট পুজোর পরেই উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বারাণসীতে তার যাওয়ার কথা। তার আগে সেখানেও দলীয় অফিস খুলতে তোড়জোড় শুরু করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। বারাণসীতে বহু বাঙালি পরিবার বসবাস করেন আর তারা প্রত্যেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের সঙ্গে, ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পরিচিত। তাদের আবেগকে কাজে লাগিয়েই এখানে দ্রুত নির্বাচনী কার্যালয় খুলতে চায় তৃণমূল।
আরো পড়ুন ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় ভাটপাড়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ পরিবার-পরিজনদের
একাধিক পার্টি অফিস। উত্তর প্রদেশের বরেলি, মোরাদাবাদ, আলিগড়, আগ্রা, গোরক্ষপুর, আজমগড়, বারাণসী, মির্জাপুর, এলাহাবাদে দলীয় অফিস খোলা হয়েছে। অবশ্য লখনউতে দীর্ঘ দিন ধরেই একটা দলীয় কার্যালয় আছে। উত্তর প্রদেশের নেতা নীরজ রাই জানাচ্ছেন, “আমরা উৎসাহিত কর্মীরা দলীয় কার্যালয় খুলেছি। বাংলার ভোটে বিজেপিকে পরাস্ত করার পরে উত্তরপ্রদেশেও মানুষ উৎসাহিত হয়েছেন। তাই আমরা এখানে দলীয় কার্যালয় খুলেছি।”
আরো পড়ুন ডেঙ্গু অভিযানে বিধান নগর পৌর নিগমের স্বাস্থ্য দফতর
সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বৃদ্ধি করতে নজরে বেশ কিছু রাজ্য। তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে একাধিক রাজ্যে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল ক্রমশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলার ভোটের রেজাল্ট আউটের পরেই দেখা যাচ্ছে একাধিক রাজ্যে ভীষণ রকম সক্রিয় হয়ে উঠেছে ঘাস ফুল শিবির। ইতিমধ্যেই টিএমসি ফর ত্রিপুরা, টিএমসি ফর অসম, টিএমসি ফর মণিপুর, টিএমসি ফর উত্তরপ্রদেশ, টিএমসি ফর মহারাষ্ট্র, টিএমসি ফর ঝাড়খণ্ড, টিএমসি ফর বিহার, টিএমসি ফর ওড়িশা ভীষণ রকম সক্রিয়। যেখানে প্রতিদিন বিজেপি বিরোধী নানা ইস্যুতেই চলছে একাধিক পোস্ট।
আরো পড়ুন কলকাতার বুকে নিষিদ্ধ শব্দ বাজির রমরমা, গ্রেপ্তার এক
তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের কথায়, করোনা আবহে সংগঠন বিস্তারের এই মাধ্যম আসলে সুবিধা করে দিচ্ছে দলকেই।বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে একাধিক পেজ খোলা হয়েছে যা সম্বন্ধে দলের শীর্ষ নেতারাও অনেকে অবগত নন। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তার আমলে প্রশাসনিক কিছু কর্মকাণ্ডের ঢালাও প্রচার চলছে। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলছেন, “এটা একটা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বড় অংশ ব্যবহার করেন যুব সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা দেখতে পাচ্ছেন পশ্চিমবাংলায় মমতা বন্দোপাধ্যায় কি কি প্রকল্প এনেছেন। আগামী দিনে বৃহত্তর ক্ষেত্রে মমতা বন্দোপাধ্যায় সেই সব প্রকল্প যদি নিয়ে আসেন তাহলে দেশের মানুষের কি উপকার হবে সেটা বুঝতে পারছেন মানুষ।”
আরো পড়ুন শিল্পাঞ্চলে পেটে লাথি মারার রাজনীতি করছে তৃণমূল, অভিযোগ অর্জুনের
গত ২১ জুলাই উত্তরপ্রদেশ গিয়েছিলেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। এর পর লখিমপুর খেরিতে যায় তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। ফলে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক প্রচারও চলছে সেখানে। বিশেষ করে পেট্রল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বৃদ্ধি, কোভিড পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের সরকারের কাজের ব্যর্থতা- সবকিছুই তুলে ধরা হচ্ছে এই সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। যেমন টিএমসি ফর ত্রিপুরা পেজে গেলেই দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন কত কর্মী তৃণমূলে যোগদান করছে তার বিভিন্ন ছবি দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া থাকছে নানা আপডেট।
Discussion about this post