আমজাদ আলী,মালদা: দয়ে পোকা আক্রমন আমে। ঝড়ে যাচ্ছে আম। মাথায় হাত আম চাষীদের। গত কয়েকদিনের তীব্রদাবদহের ফলে এই দয়ে পোকার উপদ্রব বেড়েছে। আর যে কারণে মালদহের অর্থকারী ফসল আম ক্ষতির মুখে। চিন্তিত মালদা জেলা উদ্যানপালন ও বাগিচা দপ্তরের আধিকারিকেরা। জরুরী ভিত্তিতে এই পোকা উপদ্রব কমাতে আমচাষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মালদা জেলাতে ৩৩হাজার হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়। এই বছর চার লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।দয়ে পোকা আক্রমনের ফলে আম উৎপাদনের যে টাগেট জেলা উদ্যান পালন ও বাগিচা দপ্তরের কর্তারা আশা করেছিলেন তাতে ভাঁটা পড়তে পারে এমনই আশঙ্কা করছেন তারা। এই বছরের শুরুতে আম উৎপাদনে অনুকুল আবহাওয়ার ফলে চাষী থেকে ব্যবসায়ী সকলেই খুশিতে ছিলেন। সময়ের আগেই মালদার আমবাগান মুকুলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমজনতাও মালদার আমের স্বাদ অল্প খরচে পাবে আশা করেছিলেন এমন। কিন্তু গত কয়েকদিনের তীব্রদাবদহ কপালে ভাঁজ ফেলেছে সকলের।
আম চাষী রতন ঘোষ জানাচ্ছেন, যেহারে এই পোকার উপদ্রব বেড়েছে। তাতে আমকে বাঁচিয়ে রাখা দায় হয়ে দাড়িয়েছে। ঋণ নিয়ে আমচাষ করেছিলেন। প্রথমে মুকুল ভালো হওয়ায় আশা করেছিলাম। এবার হয়তো ফলন ভালো হবে। দুই পয়সার মুখ দেখবো। আজ হতাশ। রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত এইপোকা উপদ্রব থেকে আম রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হোক। জেলা উদ্যান পালন বাগিচা দপ্তরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন পোকা উপদ্রব শুরু হয়েছে। তীব্রদাবদহও চলছে। এই সময় সংবেদনশীল পোকা মারার কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন। এছাড়া নিম তেল জাতীয় জিনিস জলে মিশিয়ে স্প্রে করলে এই দয়ে পোকা উপদ্রব কমে যাবে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post