কুশল দাসগুপ্ত, শিলিগুড়ি : পূজো আসল আবার পূজো চলেও গেল। আজ সেই প্রতিক্ষিত বিজয়া দশমী। বাঙ্গালীর এক অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দিন। আজকে মাকে সিদুর খেলায় রাঙিয়ে দিতে মন্ডপে মন্ডপে ভীড় করছেন গৃহবধুরা। কিছুটা বিষাদ আবার সামনের বছর “আবার এসো মা” এই শব্দ নিয়ে গৃহবধুরা আজকে মাকে বরন করে নিয়েছেন। সাথে সাথে তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এসেছেন মায়ের আর্শীবাদ এবং তাদের মঙ্গল কামনার জন্য। আজকে শিলিগুড়ির প্রতিটি প্যান্ডেলে সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি, কারন দশমী আর বেশীক্ষন নেই। তাই সকালেই তৈরী হয়ে প্যান্ডেলে পৌছে যান বাড়ির বৌরা।
সবাই ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক এই কামনা করেই বাড়ির থেকে বের হন সবাই। গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড পরিমানে হুড়োহুড়ি করবার পরে আজকের শিলিগুড়ি অনেকটাই শান্তি। শুধুমাত্র ফুলের দোকান এবং মিষ্টির দোকানে লাগামছাড়া ভীড়। আজ যে বিজয়া। আজকের দিনে মা দূর্গার আর্শীবাদ নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে মিষ্টি খাওয়ানো বাঙালির পুরানো ঐতিহ্য। তাই আজও বাদ গেল না কোনকিছুই। একটা আলাদা চিত্র চলে আসল শিলিগুড়ির মানুষের কাছে। সকাল থেকে মা দূর্গার গায়ে সিদুর পড়িয়ে দিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় বাড়ির বৌদের মধ্যে। থালার মধ্যে সিদুরের কৌটা এবং মিষ্টির সাথে সন্তানদের পড়ার বই নিয়ে সবাই মা দূর্গাকে বরন করতে প্যান্ডেলে পৌছে গিয়েছিলেন।
ঝলমলে আকাশ শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা নিয়ে এসেছিল শিলিগুড়ির মানুষের জন্য। আজকে বিজয়া দশমী হলেও শিলিগুড়ির সব ঠাকুর বিসর্জন হচ্ছে না। তাই উদ্যেক্তারা যতটা সম্ভব মা দূর্গাকে বরন করবার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছেন। তবে সকাল থেকে লাল পেড়ে শাড়ি পড়া বাড়ির বৌদের দেখে মনে হচ্ছিল শিলিগুড়িতে বাঙালিয়ানা এখনো জীবিত আছে। তাই আজকের দিনটা এত সুন্দর এবং মায়ের বিদায়ের কারনে বিষাদময় হয়ে উঠেছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post