দীপ দেব: মহারাজ শুক্রবার মহাপবিত্র শুভ বাংলা নববর্ষ এবং মাতৃ -পিতৃ পূজন দিবস। শিলচর লক্ষ্মী নারায়ণ বিবাহ ভবনে শুক্রবার বিকাল পাঁচ ঘটিকা থেকে শুরু করেন গ্লোবল হিন্দু হ্যারিটেজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পিতৃ -মাতৃ পূজন দিবস পালন করেন উক্ত ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।প্রথমে উক্ত ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ সহ সভাপতি সম্রাট দত্ত মহাশয়কে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান। পিতৃ-মাতৃ পূজন দিবস পালন সহ এই সংস্থার উদ্দেশ্য তুলে ধরেন সভাপতি তথা আইনজীবি সম্রাট দত্ত ,তাদের এই সংস্থা সমাজে বসবাসকারী লাঞ্চিত ও বঞ্চিত হিন্দুদের ধার্মিক ও সামাজিক উত্থানের জন্য বিগত এক বৎসর থেকে প্রচারবিহীন ভাবে কাজ করে আসছেন, আজকের এই পিতৃ -মাতৃ পূজন দিবস পালন করার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো, অতীতে আমদের পূর্বপুরুষেরা হিন্দুরা যেভাবে পিতা ও মাতাকে শ্রদ্ধা-সম্মান ও পূজা করতেন ঠিকই একই ভাবে এই প্রথার বর্তমান দিনের ছেলে – মেয়েদের মধ্যে প্রচার করা অত্যন্ত জরুরি।
এরপর মূখ্য সম্মাণিত অতিথি হিসেবে শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ বক্তব্যে বলেন,”মা”এই একটা শব্দ আমাদের জীবনে জীবনের সমান। আমাদের জীবনে মা একটা এমন জায়গা যা আমরা ঠিক সুস্পষ্ট ভাবে ব্যাখ্যায় করতে পারিনা। মা আমাদের সেই গাছ তলা যেখানে জীবনের কঠোর তপ্ত রোদের মধ্যে একফালি ছায়া যেখানে আমরা চলার পথে কিছুটা বিশ্রাম পাই। মা আমাদের বাড়ির সেই কোনটা যেখানে আমরা আর সবকিছু ভুল হলে গিয়ে বসে নিঃস্বাস নি।জীবনে যে মানুষের কাছে তার মায়ের স্নেহ থাকে সে সেই স্নেহ ভালোবাসার জোরে সারা পৃথিবী জয় করতে পারে। এমন কোনো পরিস্থিতি জীবনে থাকেনা এমন কোনো অসুবিধে আমাদের জীবনে থাকেনা যা আমাদের মা ঠিক করে দিতে পারেনা।মায়ের স্নেহ, মায়ের ভালোবাসা, মায়ের আশীর্বাদই জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, জ্ঞানে বা অজ্ঞানে কখনো যদি তাকে অবহেলা করে থাকো, তবুও ক্ষমাসুন্দর মা ই এ জীবনে সবচেয়ে আপন।এইজন্য মা-বাবার আদেশ -উপদেশ-নির্দেশ প্রত্যেক ছেলে -মেয়েদের মেনে বর্তমান দিনে একান্ত প্রয়োজন, সেই মা-বাবার কথা অনুযায়ী চলা মানেই সর্ব উন্নতির পথ।
জগতের সকল নারীকে আমরা মাতৃশক্তি হিসেবে গন্য করি এবং মাতৃঋণ ও পিতৃঋণ সমুদ্রের থেকেও গভীর,এই ঋণ শোধ করা অসম্ভব।গ্লোবল হিন্দু হ্যারিটেজ ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতাঞ্জলি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা সেনগুপ্তা সহ উনার ছাত্রীরা। সেদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশনের পরিচালনা কমিটির সম্পাদক বিল্পব কুমার দে, সৌরভ দেব,বিক্রম দাস,বাপন দাস,উন্মিক দাস,শোভাশিষ চৌধুরী সহ আরো অনেকে।
Discussion about this post