সুরশ্রী রায় চৌধুরী: রাখি সাওয়ান্ত ও মিকা সিং-এর ১৭ বছরের পুরনো কিসিং মামলার নিষ্পত্তি হতে চলেছে। ২০০৬ সালে মিকার জন্মদিনের রাতে মুম্বইয়ের এক নাইটক্লাবে রাখিকে হেনস্থা করার অভিযোগ ছিল মিকার বিরুদ্ধে। গায়ক জোর করে চুমু খান রাখিকে, এরপর মিকা ও তাঁর সহকর্মী ভিকি ঝামেলায় জড়ান রাখি ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে। ঘটনায় আহত হন রাখির এক বন্ধু।
মিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (মহিলাকে উত্যক্ত করা) এবং ৩২৩ (স্বেচ্ছায় কাউকে আঘাত করা) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন মিকা। পরে সেশন কোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে দুজনের সম্পর্কের সমীকরণ। মিকা এখন রাখির ‘ভাই’। তাই রাখির সম্মতি নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ মিকা।
বম্বে হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করে রাখির দায়ের করা এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়েছিলেন মিকা। সোমবার বিচারপতি অজয় এস গডকরি ও প্রকাশ ডি নায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। গায়ক জানান, রাখি সাওয়ান্ত ইতিমধ্যেই সম্মতি জানিয়েছেন এই এফআইআর খারিজ করে নেওয়ার, নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু আদালতের রেজিস্ট্রি রেকর্ডে রাখির মামলা খারিজের সম্মতির হলফনামা না মেলায় স্থগিত হয়ে যায় এদিনের শুনানি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে রাখিকে হলফনামা দিয়ে গোটা বিষয়টি জানাতে বলেছে আদালত।
রাখির আইনজীবী আয়ুশ পাসবোলা আদালতকে জানান, রেজিস্ট্রি থেকে রাখির হলফনামা গায়েব হয়ে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, মিকার সঙ্গে যাবতীয় সমস্যা মিটে গিয়েছে রাখির, এখন তাঁরা বন্ধু। এই এফআইআর খারিজের আবেদনে কোনও আপত্তি নেই অভিনেত্রীর। মিকার আইনজীবী ফাগ্লুনী ব্রহ্মাট আদালতকে জানান, ১৭ বছর ধরে এই মামলা ঝুলে রয়েছে। চার্জশিট জমা হলেও এখনও মিকার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়নি। মিকা ও রাখি আদালতের বাইরে নিজেদের মধ্যেকার সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছেন, তাই এই মামলা খারিজ করা হোক। আগামি ১৭ই এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post