কল্যাণ দত্ত, পূর্ব বর্ধমান:- রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পালটা একহাত নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ । সরাসরি তিনি প্রশ্ন তুললেন, মন্ত্রীর ছেলেরা কি চাকরি পেতে পারেন না ? তাহলে আইন করে লিখে দেওয়া হোক মন্ত্রীর ছেলে চাকরি পেতে পারেন না।
শুক্রবার অর্থাৎ ৭এপ্রিল বিকেলে বর্ধমানের জনসভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সেখানে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি । হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘এবার ইডি সিবিআই ঢুকবে এই জেলায় । রাজ্যে মাতব্বরদের যে অবস্থা হচ্ছে, এখানকার মাতব্বরদের অবস্থাও তাই হবে । এখানকার এক বিধায়ক আছেন, যিনি বিধায়ক হওয়ার আগে সাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়াতেন । সেই চোরগুলো বিধানসভা ভোটের পরে দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিয়েছে “।
তিনি আরও বলেন, ‘‘তাঁরা যদি ভাবেন ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন ৷ তাহলে ভুল করছেন । এই বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বেশি চোর আছে । মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ তো জোড়া দিয়েছে । আমি তো বারবার বলেছি বর্ধমানের এক মন্ত্রী আছেন, যাঁর ভাবটা এমনই যেন ভাজা মাছ উলটে খেতে জানে না । জালি হিন্দু সেজে মায়াপুরে গিয়ে ঢোল বাজিয়ে এসেছে । ওর বাড়িতে জোড়া চাকরি দিয়েছে । বীরভূম, আরামবাগ পর্যন্ত এসে গিয়েছে ইডি-সিবিআই৷ এবার বর্ধমানের পালা “।
শনিবার শুভেন্দুর অভিযোগের জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ৷ তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রীর ছেলের চাকরি পাওয়া কি অপরাধ ? মন্ত্রীর ছেলে হলে কি চাকরি পাবে না ? মন্ত্রীর ছেলে চাকরি পাবে না সেটা আইন করে লিখে দিক”। ইডি-সিবিআই দিয়ে বিজেপি সম্মানহানির চেষ্টা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন ৷ তাঁর দাবি, মানুষের কাছে ইডি-সিবিআইয়ের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই । তাই তাঁর কোনও ভয় নেই । কারণ, আমি এখনও এমন কোনও অনৈতিক কাজ করিনি । আর ওরা যে রাজনৈতিক স্বার্থে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করছে, সেটা তো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে । স্বপন দেবনাথের জনসংযোগ নিয়ে শুভেন্দু কটাক্ষ করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে স্বপন দেবনাথ পালটা বলেন, ‘‘আমি তো একদিনের জন্য মানুষের কাছে যাই না । সারাবছর কী শীত, কী গ্রীষ্ম আমি সকাল হতেই বাজারে মাঠে ঘাটে গিয়ে সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নি।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post