নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় নবম স্থান দখল করে জামালপুরের মুখ উজ্জ্বল করলো পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের সেলিমাবাদ হাই স্কুলের ছাত্রী মোনালিসা পাল। সে ৪৮৮ পেয়ে নবম স্থান অধিকার করেছে। বাবা গৌতম পাল ও মা মৌসুমী পালের একমাত্র কন্যা মোনালিসা। পারিবারিক অবস্থা ততটা স্বচ্ছল নয় মোনালিসার। বাবা গৌতম পাল পেশায় একজন সেলসম্যান। বেশ কষ্টের সাথেই তাঁকে সংসার চালাতে হয়। সেই পরিবার থেকে এই চোখ ধাঁধানো রেজাল্ট করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মোনালিসা।
রেজাল্ট ঘোষণার সাথে সাথেই তার বাড়িতে প্রচুর মানুষের সমাগম হচ্ছে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে। তাকে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাড়িতে যান তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহমুদ খান। সঙ্গে ছিলেন শ্রমিক সংগঠনের লোক সভাপতি তাবারক আলী মন্ডল ও ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিট্টু মল্লিক। উপহার হিসাবে তার হাতে সুন্দর একটি সরস্বতীর মূর্তি তুলে দেন মেহমুদ খান। মোনালিসা বলে, ভবিষ্যতে এসে ডাব্লিউ বি সি এস অফিসার হতে চায়। তার বাবা বলেন, মেয়েকে তিনি তাঁর সাধ্যমত চেষ্টা করবেন পড়াতে। তিনি তাঁর মেয়ের ভবিষ্যতের পড়াশুনার জন্য সরকারের কাছ থেকে সাহায্য পাবার কথা বলেন।
মেহেমুদ খান বলেন, মোনালিসা জামালপুরের গর্ব। ওর জন্য সত্যি আজ সকল জামালপুরবাসী গর্বিত। তিনি বলেন তার পড়াশুনার জন্য যে কোনো রকমের সাহায্য তাঁরা করবেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভোলানাথ কর্মকার বলেন প্রথম থেকেই লেখাপড়ায় ভালো মোনালিসা। সে যেমন মেধাবী তেমনই খুবই নম্র, ভদ্র ও গুণী মেয়ে। সে যে ভালো রেজাল্ট করবে সে বিষয়ে তাঁরা আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু এখন সে যা রেজাল্ট করেছে তাতে করে স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে সে। প্রধান শিক্ষক হিসাবে তিনি গর্বিত। অনেক অনেক আশীর্বাদ করেন তিনি মোনালিসাকে। মোনালিসা আগামীতে কলকাতার লেডি ব্রেবন বা বেথুন কলেজে পড়তে চায়। জামালপুর থানার পক্ষ থেকে সেকেন্ড অফিসার তাপস কুমার শীল ও সৌরভ তেওয়ারি বাবুও মোনালিসার বাড়িতে গিয়ে তাঁর এই সাধারণ সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানান।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post