সুরশ্রী রায় চৌধুরী : কোভিড আবহে ২২ জানুয়ারি সম্ভবত পুরভোট হচ্ছে না। ২ সপ্তাহ পর, ফ্রেরুয়ারিতে ভোট হতে পারে বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল ও চন্দননগর পুরনিগমে। খবর নবান্ন সূত্রে। কোভিডের জন্য অন্তত ১ মাস পুরভোটে পিছিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে। জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয় হাইকোর্টে। এদিন সেই মামলা রায় ঘোষণা হল।
আরো পড়ুন মাক্স না পড়ায় শ্যামনগরে আটক বেশ কয়েকজন
জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনে ভোট পিছিয়ে দেওয়া পক্ষেই মত দিল আদালত। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পর হতে পারে ভোট। কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। এদিকে পুরভোটের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকারই। সেই সিদ্ধান্তে মেনে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা-সহ বাকি কাজগুলি করে কমিশন। হাইকোর্টের রায়ের পর, আগামিকাল শনিবার মুখ্যসচিবের হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসছেন নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। সেই বৈঠকে পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, হাইকোর্টে পরামর্শ মেনে ৪ পুরনিগমে ভোট পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাই শোনা যাচ্ছে, নবান্ন সূত্রে।
আরো পড়ুন শ্রমিক-মালিক কাজিয়ায় বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের জে জে আই জুটমিল, কর্মহীন চার হাজার শ্রমিক
স্রেফ মুখ্যসচিব নন, এর আগে স্বরাষ্ট্রসচিব ও স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। সেই বৈঠকে কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, ২২ জানুয়ারি নির্ধারিত দিনেই ভোট হবে শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল ও চন্দননগরে পুরনিগমে। বস্তুত, কোভিড আবহে প্রচার সংক্রান্ত নির্দেশিকাও জারি করেছে কমিশন। রাজ্য সরকার কমিশনকে জানিয়েছে, পুরভোটে ৯ হাজার সশস্ত্র পুলিস মোতায়েন করা হবে। ভোটের দিন প্রতিটি বুথে থাকবেন বন্দুকধারীরা।
Discussion about this post