নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান: বৃহস্পতিবার সকালে মেমারি থানার অন্তর্গত আমাদপুর অঞ্চলের মধুপুর গ্রামের এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে মেমারি গ্রামীন হাসপাতালের চত্বরে ছেলে পক্ষ ও মেয়ে পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা থেকে বাঁশ নিয়ে মারপিট হয়। হাসপাতালের আধিকারিক মেমারি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে জানা যায় বুধবার গভীর রাতে গৃহবধূর মৃত্যু হয়। মৃতার নাম কৃষ্ণা মন্ডল(৩৫), স্বামীর নাম চন্দন মন্ডল। বাপের বাড়ি মেমারি থানার অন্তর্গত দেবীপুর অঞ্চলের দমদমা।
মৃতার বাবা বাসুদেব ঘোষ ও ভাই কৌশিক ঘোষ জানান, ১৭ বছর আগে কৃষ্ণার বিয়ে হয় আমাদপুরের কাছে মধুপুরগ্রামের বাসিন্দা চন্দন মন্ডলের সাথে। তার দুটি মেয়ে আছে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই স্বামী কৃষ্ণার উপর নির্যাতন করতো, এমনকি চন্দন মন্ডলের সাথে একটি অন্য মেয়ের সম্পর্কও ছিল এবং এই নিয়ে কয়েকবার মীমাংসায় বসেছিল দুই পরিবার। আরও জানা যায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ তাদের খবর দেওয়া হয় এবং মেমারি হাসপাতালে তারা এলে কৃষ্ণার মৃতদেহ দেখতে পায়। শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে বলা হয় কৃষ্ণা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
যদিও মেয়ে পক্ষের অভিযোগ এটা আত্মহত্যা নয়, তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। মেমারি থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। যদিও মেমারি হাসপাতাল চত্বরে স্বামী চন্দন মন্ডলকে দেখা যায়নি তাই মৃত্যু রহস্য ঘণীভূত হচ্ছে মেয়ে পক্ষের মধ্যে তাদের দাবী চন্দন মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post