নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান: কথাতেই আছে সাধ আছে সাধ্য নাই। কিন্তু এর বিপরীতে গিয়ে সাধ মেটাতেই সাধ্যের বাইরে গিয়ে নবীন বরণের আয়োজন করল বসন্তপুর জুনিয়ার হাই স্কুল। অনেক অসুবিধা, ঘরের অভাব, নাই কোনো স্থায়ী শিক্ষক শুধু গ্রামের এক শিক্ষা পাগল মানুষের ঐকান্তিক চেষ্টায় চলছে এই স্কুলটি। জামালপুরের বসন্তপুর জুনিয়ার হাই স্কুল । বসন্তপুর খেলার মাঠের পাশে অবস্থিত। বর্তমানে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ১৩৭ জন ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করে এই স্কুলে। যিনি এই মুহূর্তে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (যিনি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) আছেন বিশ্বজিত ঘোষ তাঁর এই মাসেই কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
অন্য এক শিক্ষক শশাঙ্ক শেখর ভূইঞা তিনিও একজন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক তাঁর কাজের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে। এই মুহূর্তে স্কুল চলছে ওই গ্রামেরই শিক্ষা পাগল মানুষ দ্বিজেন্দ্রনাথ ঘোষ যিনি জামালপুর হাই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন তাঁর কাজের মেয়াদ শেষ হবার পরেও স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পরিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সাথে এইভাবেই স্কুলে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন পাশের বেত্রাগর গ্রামের এক তরুণী শিল্পা সাহা, সুমন মাঝি ও বিশ্বজিৎ মিত্র। নানা সমস্যা থাকা সত্বেও আজ সকলের চেষ্টায় বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের একটু অন্যরকম আনন্দ দিতে বিদ্যালয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়া ছাত্র ছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়। এবং সকলকে একটি পেন, গোলাপ ফুল, মিষ্টি দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নৃত্য পরিবেশন করে। সঙ্গীত পরিবেশন করে বিদ্যালয়ের ছাত্রী সারদা ঘোষ।এরই সাথে বিশেষ নিউট্রিশন দিন হিসাবে ছাত্র ছাত্রীদের একটি করে কমলালেবু দেওয়া হয়। বিশেষ মধ্যাহ্ন ভোজনের ও ব্যবস্থা করা হয়। গ্রামের শিক্ষক দ্বিজেন বাবু জানান প্রচুর সমস্যা রয়েছে স্কুলে। তার মধ্যেও ছেলে মেয়েদের একটু আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করা হলো। তিনি জানান এস আই ম্যাডামকে জানিয়েছেন যাতে দ্রুত আর একজন শিক্ষক এই স্কুলে দেওয়া হয়। যিনি সরকারি ভাবে স্কুলে দায়িত্ব নেবেন। বসন্তপুর গ্রাম ছাড়াও অন্য আরও কয়েকটি গ্রামের অসহায় মানুষদের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলেই পড়াশোনা করে।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post