দীপ দেব : বর্তমানের এই ভেজালের দিনেও যে কোনো মানুষের সৎ চিন্তাধারা ও নিজের কর্মক্ষমতার উপর এবং পরোপকারের উপর বিশ্বাস থাকে তাহলে অসাধ্য কিছুই নেই এমনটাই উদাহরন পাওয়া গেলো দুই কর্মউদ্দ্যমী যুবকের বিশেষ কর্ম প্রচেষ্ঠায় শিলচর রামনগরের বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য সরবরাহ দফতরের অনুমোদন প্রাপ্ত ডি.এন্ড.ডি এন্টারপ্রাইজ নামের অত্যাধুনিক মেশিনের দ্বারা পরীক্ষা করা খাটি গরুর দূধের ২৮ টি উৎপাদিত বস্তু যেমন দূধ,পনির, ঘি , দৈ, ক্ষীর সহ আরো অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাদ্যদ্রব্য বানানো হচ্ছে এবং বরাক উপত্যকা সহ বহি্রাজ্যেও ব্যবসার জন্য পাঠানো হচ্ছে বলে জানান দুই প্রচারবিমুখ উদ্যোক্তা যুবক দেবজ্যোতি দাস ও রূপক কুমার দেব মহাশয়েরা। তারা আরো জানান , ২০২১ সালে তারা একটি বাইরের কোম্পানির চাকরি ছেড়ে নিজের চিন্তাধারা নিয়ে কিছু করা ও এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে সমাজের কিছু সংখ্যক বেকার ছেলে-মেয়েরা কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারেন সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষদেরকে ভেজাল দূধের পরবর্তীতে অধ্যাধুনিক মেশিনের দ্বারা যাচাই করা ভালো গরুর দুধ ও বানানো মিষ্টি দ্রব্য গুলো পৌছে দিতে পারেন তাহলে তাদের চিন্তাধারাটি পুরোপুরি ভাবে সফল হবে।
আগামী বাংলার পয়লা বৈশাখ থেকে শিলচরের গোলদীঘি মহলে থাকা স্মার্ট বাজারের মতো বড়মাপের শপিং মলে তাদের এই মাম্মি নামের দূধ সহ দূধের দ্বারা তৈরী হওয়া সমস্ত মিষ্টিদ্রব্য গুলো সরবরাহ হবে ও সেখান থেকে এই অঞ্চলের গ্ৰাহকেরা ক্রয় করতে পারবেন। বর্তমানে তাদের ডি.এন্ড.ডি এন্টারপ্রাইজের অধীনে থাকা মাম্মী ফুডর্সে কর্মরত আছেন দশজন পুরুষ ও মহিলা সেই সঙ্গে ১২টি এস.এস.জি গ্ৰুপের মহিলা সহ প্রায় ষাঁট জন বেকার পুরুষেরা পালিত গরুর দুধ বাড়ী-বাড়ী থেকে সংগ্ৰহ এখানে বিক্রি করে পরিবার চালান। দেবজ্যোতি দাস ও রূপক কুমার দেব দের উদ্যেশ্য একটাই এই অঞ্চলের মানুষেরা গরু পালন করেন এবং ভেজাল দূধ ও মিষ্টি সেবন থেকে মুক্তি পান।

২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এ সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা এবং ইংলিশ খবর পড়ুন ২৪X৭ নিউজ বেঙ্গল এর ওয়েবসাইটে। নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে।
‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’! ‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।
Discussion about this post